মুক্তা (Pearl) ধারণ বিধি | বিভিন্ন রোগ প্রতিকারে মুক্তার ব্যবহার নিয়ম |

মুক্তা ধারণের নিয়ম

মুক্তা (Pearl) ধারণ বিধি এবং বিভিন্ন রোগের থেকে মুক্তি পেতে মুক্তার ব্যবহারের নিয়ম |

মুক্তো ধারণের নিয়ম: প্রথমে শ্রেষ্ঠ মুক্তা (Pearl) ক্রয় করে এনে বৃহস্পতিবার বা রবিবার পুষ্যানক্ষত্রে প্রাতে ১০টার মধ্যে চার রতি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের মুক্তা রুপার আংটিতে লাগিয়ে কিংবা সোনার আংটিতে লাগিয়ে মুক্তার ব্যবহার করা হয়| অন্য ধাতু চলবে না | মুক্তাটি (Pearl) যেন দেহ স্পর্শ করে থাকে, এইভাবে আংটিতে বসাতে হবে |

মুক্তার ব্যবহার

মুক্তা কোন আঙুলে পরতে হয়?

মুক্তা পাথর কোন আঙুলে পরে? এই প্রশ্নটি অনেকের মনে থাকে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, এই আংটি ডান বা দক্ষিণ হাতের তর্জনীতে ধারণ করতে হয় |

অনামিকাতেও ধারণ করা চলে| তবে রত্ন ধারণের আগে সবসময় বিশেষজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়া উচিত।

মুক্তা পাথর পরার নিয়ম: সকাল ১০টার পর চন্দ্র যজ্ঞ করার নিয়ম, চার তোলা ও ৭ রতি রুপার পাতে চন্দ্রাসন তৈরী করতে হবে| তার ওপর মুক্তা (Pearl) রেখে বা মুক্তো (Pearl) বাঁধানো আংটি রেখে ষোড়শ উপাচারে আংটি ও চন্দ্রাসনের  পূজা করে চন্দ্র মন্ত্রে অভিষিক্ত করতে হবে |

চন্দ্র মন্ত্র –

“ওঁ ইমন্দ্রেবা অসপত্নধু সুবধ্বম্মহতে ক্ষত্রায় মহতে জ্যৈষ্ঠায় মহতে জ্ঞান রাজ্যাযেন্দ্রস্যন্দ্রিয়ায় | ইমমনুষ্য পুত্রমমু পুত্রম পুত্রম বিবশহষবো মিরাজাসামা স্মাকং ব্রাহ্মণানাদুং রাজা |

এরপর নিন্মমন্ত্রে ঘৃত, গুলগুল, তিল দ্বারা হোম করুন |

মন্ত্র – “ওঁ সৌ সোমায় নমঃ |”

এরপর মুক্তা ও চন্দ্রাসন এ চন্দ্রের প্রাণ প্রষ্ঠিতা করবে | পূর্ণা আহুতি পর অভিষিক্ত আংটি ধারণ করবে এবং চন্দ্রাসন বা যন্ত্রটি ও একটি সৎ ব্রাহ্মণকে দান করবেন | সেইসঙ্গে চাউল (আতপ), শ্বেতবস্ত্র, চিনি,দধি, রুপা, শঙ্খ, শ্বেতপুষ্প, ঘৃত এবং কর্পুর দান করবে |

রোগ প্রতিরোধে মুক্তার ব্যবহার

বিভিন্ন রোগের থেকে মুক্তি পেতে  মুক্তার ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে | বিভিন্ন রোগ প্রতিকারে মুক্তা পাথরের উপকারিতা অপরিসীম| বর্তমানে আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও বিভিন্ন রোগ প্রতিকারে মুক্ত ভষ্ম ভীষণ ভাবে প্রচলিত |

এখন জেনে নেওয়া যাক রোগ প্রতিকারের ক্ষেত্রে মুক্তার উপকারিতা বা গুনাগুন –

১| পাথুরি রোগে মুক্তা ভস্ম মধুসহ সেবনে উপকার হয় |

২| প্রস্রাবে জ্বালা যন্ত্রনা দেখা দিলে মুক্তা ভস্ম কেওড়া জলসহ সেবনে আরোগ্য হয় |

৩| দেহে বেশি গরম উৎপন্ন হলে শুদ্ধ মুক্তা ধারণে উপকার হয় |

৪|  অর্শ রোগের ও গ্রন্থি -বেদনায় মুক্তা ভস্ম অত্যন্ত উপকারী |

৫| নারীদের উদর সংকান্ত কষ্ট বা ব্যাধিতে  শ্রেষ্ঠ মুক্তা ধারণ  অত্যন্ত উপকারী |

৬ | অবসাদের হাত থেকে মুক্তি পেতেও মুক্তা ভীষণই কার্যকরী এক প্রতিকার হিসাবে মান্যতা পায় |

৭ | বার্ধক্য জনিত ক্ষয় রোগেতেও মুক্তার ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকে প্রচলন আছে |

## কোন রাশির জাতক জাতিকারা মুক্তা ব্যবহার করবেন | মুক্তা শোধন করার নিয়ম কি? মুক্তা সমন্ধে আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে আপনার নিকটবর্তী ভালো জ্যোতিষী এর সঙ্গে যোগাযোগ করুন |                       

Author Bio

Related Posts