ইচ্ছা হলেই কি হিরে ধারণ করা যায় ! জেনে নিন
হীরের অলংকার তো সবারই পছন্দ। কিন্তু সর্বদা এই হীরা ধারণ করা কি উচিত। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে হিরে সবার জন্য নাও সহ্য হতে পারে। তাহলে এখন প্রশ্ন হীরা কারা পড়বেন? বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন এখানে হীরা কাদের পড়া উচিত।
এমন মানুষ খুব কমই আছেন, যাঁদের হিরে পরার শখ নেই। তবে ইচ্ছে হলে হীরা পড়বেন তা কিন্তু নয়। কারণ জ্যোতিষ মতে, হীরা আপনার জন্য উপযুক্ত হলে জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হয়। অপরদিকে সহ্য না হলে হীরা হয়ে ওঠে সমস্যার কারণ। তাই হীরা ধারণের আগে অবশ্যই প্রকৃত জ্যোতিষবিদ এর পরামর্শ নিন। জেনে নিন হীরা কারা পড়বেন –
শাস্ত্রমতে যেসব জাতক জাতিকার জন্মছকে শুত্রু দুর্বল, তারা হীরা ধারণ করলে শুভ ফল পেতে পারেন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক হীরা কারা পড়বেন :
১। যে পুরুষ বা নারীর ভূত-প্রেতাদির বাধা থাকে তাদের শীঘ্র হীরা ধারণ কর্তব্য।
২। বিষক্রিয়া শেষ করতে হীরা প্রবল শক্তিশালী। অতএব যে ব্যাক্তিরা বনে-জঙ্গলে কাজ করে অথবা বিষধর জন্তুকে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে হয়, তাদের হীরা ধারণ করা কর্তব্য।
৩। তুলা রাশি বা বৃষলঙ্গে জাত ব্যাক্তিরা হীরা ধারণ করবেন।
৪। কামক্রীড়ায় সাফল্য লাভ করতে পারে না। তারা হীরার উপকারিতা পেতে পারেন।
৫।যাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনের মিলন নেই, তারা হীরা ধারণ করবেন।
৬।ব্যবসায়িক এজেন্ট, প্রেমিক-প্রেমিকা, যারা একজন অপরজনকে বশ করতে চায়, তাদের হীরা ধারণ করা কর্তব্য।
৭। যাদের জন্মপত্রিকায় শুক্র শুভ ভাবের অধিপতি হয়ে নিজের ভাবে অষ্টম অথবা ষষ্ঠ থাকে তাদের হীরা ধারণ প্রয়োজন।
৮। শুক্র ষষ্ঠ বা অষ্টম ভাবে থাকলে, হীরা ধারণ কর্তব্য।
৯। যদি শুক্রবক্রি, নীচ, অন্তগত, বা পাপ গ্রহের সঙ্গে স্থিত হয়, হীরা ধারণ কর্তব্য।
১০। যে কোনও গ্রহের মহাদশায় শুক্রের অন্তদর্শায় হীরা ধারণ কর্তব্য।
১১। বল, বীর্য কামেচ্ছা বৃদ্ধির জন্য হীরা ধারণ কর্তব্য।
##যেহেতু হীরা পাথরের দাম অত্যন্ত মূল্যবান, তাই সবার পক্ষে হীরা ধারণ সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে হীরার বিকল্প পাথর ব্যবহার করা যেতে পারে। রত্নশাস্ত্রে, হীরার জন্য বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে, মইসানাইট, শ্বেত পোখরাজ, ওপেল, জারকন প্রভৃতি। তবে হীরা পাথরের উপকারিতা সর্বাধিক পেতে একজন রত্ন বিশেষজ্ঞ এর সঙ্গে কথা বলুন।