প্রবাল রত্নটি বর্ণভেদে তিন প্রকারের হয় যথা – রক্তপ্রবাল, গৈরিকপ্রবাল, শ্বেত প্রবাল। বাজারে যে সব রত্ন কিনতে পাওয়া যায়, তার মধ্যে রক্ত প্রবাল পাথরের দাম সবথেকে বেশি।
মঙ্গল গ্রহের রত্ন রক্ত বর্ণের প্রবাল। বেশ কিছু রক্তপ্রবাল পাথর চেনার উপায় বর্তমান। যেগুলি আমাদের সঠিক মুঙ্গা বা পলা পাথর নির্বাচনে সাহায্য করে।
কোন জাতক জাতিকার পক্ষে প্রবাল ধারণ শুভ?
মঙ্গলকে জ্যোতিষশাস্ত্রে নবগ্রহের মন্ত্রী বলা হয়। আমাদের সাহস, আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য, উত্তেজনা এবং চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ হয় মঙ্গলের দ্বারা। মঙ্গল গ্রহের সমস্যা থাকলে প্রবাল পাথর ধারণ করার পরামর্শ দেন জ্যোতিষীরা।
তবে প্রবাল পাথরের উপকারিতা সর্বাধিক পেতে কতক গুলি নিয়ম মেনে এবং শোধন করে ধারণ করা হয়। পলা সবার নাও সহ্য হতে পারে। তাহলে কোন একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, কোন জাতক জাতিকার জন্য প্রবাল ধারণ শুভ? রক্ত প্রবাল পাথরের উপকারিতা কি সবাই এর শুভ?
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, জন্মছকে মঙ্গল গ্রহের অবস্থানের প্রবাল ধারণ নির্ভর করে।
জেনে নেওয়া যাক, কোন জাতক জাতিকাদের প্রবাল পাথর ধারণ করে উপকৃত হবেন।
যাদের জন্মপত্রিকায় মঙ্গল দোষ যুক্ত, অন্ত বা প্রভাবহীন হয়, তাদের রক্তপ্রবাল ধারণ কর্তব্য।
নিম্নে সবিস্তারে আলোচনা করা হল –
১| মঙ্গল রাহু বা শনির সঙ্গে স্থিত হলে।
২| লগ্নে মঙ্গল থাকলে।
৩| মঙ্গল তৃতীয় ভাবে থাকলে।
৪| চতুর্থ ভাবে মঙ্গল থাকলে।
৫| সপ্তম বা দ্বাদশ ভাবে মঙ্গল থাকলে।
৬| ধনাধিপতি মঙ্গল নবম ভাবে। দশমে, চতুর্থে মঙ্গল একাদশ স্থানে,পঞ্চম ভাবের অধিপতি মঙ্গল দ্বাদশ ভাবে থাকলে।
৭| নবমে মঙ্গল চতুর্থ স্থানে, দশমে মঙ্গল পঞ্চম ভাবে বা একাদশ অধিপতি মঙ্গল ষষ্ঠ স্থানে থাকলে।
৮| মঙ্গল যে কোনো ও স্থানে থেকে সপ্তম, নবম, দশম বা একাদশ স্থানে দৃষ্টি দিলে।
৯| মঙ্গল লগ্নে থেকে ষষ্ঠে দৃষ্টি দিলে বাধন স্থানে থেকে সপ্তমে দৃষ্টি দিলে। নবমে থেকে ধনস্থানে দৃষ্টি দিলে, দশম স্থানে থেকে তৃতীয়ে দৃষ্টি দিলে, একাদশে থেকে চতুর্থে দৃষ্টি দিলে এই রত্ন ধারণ করবে।
১০| জন্মপত্রিকায় মঙ্গল ষষ্ঠ, অষ্টম বা দ্বাদশে থাকলে।
১১| মঙ্গল সূর্যের সঙ্গে অবস্থান করলে| কিংবা সূর্য দ্বারা দৃষ্ট হলে।
১২| চন্দ্র মঙ্গলের সাথে থাকলে এই পাথর ধারণ আবশ্যক।
১৩| মঙ্গল অষ্টমাধিপতি বা ষষ্ঠ অধিপতি সঙ্গে থাকলে বা দৃষ্ট হলে।
১৪| মঙ্গল বক্রী, অস্তগত, বেদযুক্ত হলে এই রত্ন ধারণ করলে উপকারীতা মেলে।
১৫| মঙ্গল শুভ ভাবের অধিপতি হয়ে শত্রু গৃহের সঙ্গে স্থিত হলে বা দৃষ্ট হলে।
## প্রবাল পাথর পরার নিয়ম অনুযায়ী ধারণ করলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। তবে Red coral Stone ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন ভালো জ্যোতিষবিদ – এর সঙ্গে পরামর্শ করুন।