তুলা রাশিতে নবগ্রহ এর প্রকৃতি ও কার্যকারিতা
জ্যোতিষশাস্ত্রে নবগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বর্তমান। এই প্রত্যেক গ্রহের কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে। কিন্তু এই বৈশিষ্ট্য বা গুন্ কোন সময় প্রকাশ পাবে তা নির্ভর করে রাশির অবস্থানের উপর। এখন তুলা রাশিতে নবগ্রহ এর কারকতা নিম্নে বর্ণনা করা হলো:
রবি:
- রবি হলো তুলা রাশিতে নবগ্রহ এর গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রহ। ন্যায় পথে চলেন। সূক্ষ বিচার বুদ্ধি। বুদ্ধি দ্বারা সব কিছুই আয়ত্বে আনতে ভালোবাসেন।
- বোধের উৎকর্ষ সাধনে পরম যত্নবান। মানুষের কষ্টের লাঘব করতে চান নানা উদ্ধাবনী শক্তির সাহায্যে।
- পুঁথির পাতায় জ্ঞানকে ব্যাবহারিক কাজে লাগাবার প্রাণপাত করেন। বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে জগৎকে সুন্দর করে উপহার দিতে চান।
- নিজের ব্যাক্তিগত সুবিধা বিশেষ বড়ো করে দেখেন না। বড়ো বড়ো ত্রুটি ধরতে পারলে খুশি হন।
- শেষ পর্যন্ত অতি সূক্ষ ছিদ্রপথে শক্তির অপচয় হতে দেখে মনে করেন ভস্মে ঘি ঢালা হয়েছে। তখন সম্বিৎ ফিরে পান।
- জড়শক্তির চেয়ে আত্ম শক্তিই সব কিছুর মুলে রয়েছে উপলব্ধি করেন।
চন্দ্র:
- আশার কোনো শেষ নেই, অসামান্য প্রাণের আধার হয়েও যথার্থ মহতের সমকক্ষ হতে পারেন না।
- মানসিক শক্তির চরম সীমায় চলাফেরা করেন। Optimum speed- এ চলতে গিয়ে break down হয়ে যায়। প্রচেষ্টার পরিনাম দেখে দুঃখ পান।
মঙ্গল:
- অন্ধকারে চোখের দৃষ্টি চলে না। পথ হাতড়ে চলেন। বাধা মানেন না, দেশাচার, লোকাচারের তোয়াক্কা করেন না।
- নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী চলেন ফেরেন, শেষে ধাক্কা খেয়ে আক্কেল হয়।
- Persuing a very fast life may leed to a disasterous end.
বুধ:
- অনুসন্ধিৎসা প্রবল, অনেক জানা এবং শেখা আছে। সেই গরিমায় উচ্ছসিত ভাব।
- প্রকৃত জ্ঞানীর কাছে এলে নিষ্প্রভ হয়ে যান। সমুদ্রের সঙ্গে ডোবার তুলনা চলে না বুঝতে পারেন ।
আরো পড়ুন : তুলা রাশিফল 2023
বৃহস্পতি:
- জগতে সব কিছু সব সময়ে ঠিকঠাক চলে না, সামাঞ্জস্য বজায় রেখে চলতে চেষ্টা করেন। চিনির অভাবে বাতাস ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে নেন।
- সবেরই alternative থাকে। মধ্যপথে চলেন যতদূর সম্ভব সহজ রাস্তা ধরে।
- সব রকম অবস্থায় মানিয়ে চলাই আনন্দে থাকার উপায়- চাইলেই সব সময়ে মনমতো জিনিস পাওয়া যায় না, যা পেয়েছি তাকেই মনমতো করে নিতে হয় এই মানসিকতায় বিশ্বাসী।
শুক্র:
- তুলা রাশিতে নবগ্রহ এর অন্যতম শুক্র গ্রহ। জগতের সব কিছুই পরিণামশীল একথা বেশ ভালোভাবেই জানেন।
- পার্থিব জ্ঞানের অফুরন্ত ভান্ডার কে কাজে লাগিয়ে জড়শক্তির শেষ সীমায় পৌঁছায়। জড়শক্তির সসীমতা চৈতন্য শক্তির অসীমতার কাছে কিছুই নয় এ কথা বুঝতে পারেন।
- সূর্য কখনো অস্ত যায় না। তার আলো এবং শক্তি পৃথিবীর সব প্রান্তে শাশ্বত কালের জন্য বর্তমান। বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারলেও চিরকালের জন্য আলো দিতে পারে না একথা বোধগম্য হয়।
- মাটির প্রতিমাকে সোনার প্রতিমা করা যায় না। নির্জীব জড় এ প্রাণসঞ্চার করলেও তা জীবন্ত হয়ে ওঠে না। বহু পথ পেরিয়ে এই উপলব্ধি আসে।
শনি:
- সবই কালের অধীন। বিদ্যা বুদ্ধির জোরে বড় হন, অন্য কেও বড় করেন।
- অহংকার সহ্য করেন না। বড় হয়ে বাড়াবাড়ি করলে চুড়ো থেকে নিচে ফেলে দেন।
রাহু:
- বেশি পরাক্রম দেখানোর সঠিক জায়গা নয় বুঝে হেসে কথা বলেন।
- খোসামোদ করে নিজের কাজ হাসিল করেন।
কেতু:
- মাথা নেই তাই মাথা বাথ্যাও নেই। সোজা বাঁকা বোঝেন না।
- যে যেমন রাস্তা পেয়েছে সে তেমন রাস্তা দিয়েই তো যাবে! মাথার কাজ যখন নেই মাথা বাঁচানোর অনুমতিও তাই নেই।