জ্যোতিষ শাস্ত্রের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক দিক গুলি নিয়ে বহু গুনী জন আলোকপাত করেছেন এবং এখনো করে চলেছেন। সেই লেখা গুলি পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে জ্যোতিষ সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা মানুষের তৈরি হয়েছে। কিন্তু একটা বিষয়ে সাধারণ মানুষের ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি যে কি ভাবে জ্যোতিষ বিচার ও প্রতিকারের দ্বারা নিশ্চিত ভাবেই উপকৃত হওয়া যায়। জন্মছকে শুক্রের আগমন বিষয়টা খুব সহজে এবং সংক্ষেপে আলোচনা করার চেষ্টা করছি।সেই আলোচনা করতে গিয়ে ভাবফল সম্বন্ধিত আলোচনা অবশ্যই জরুরি |
শুক্রের দ্বাদশাবস্থা ফল জন্মছকে
১) শুক্রের শয়ানবস্তায় জাতক বলবান হলেও দন্তরোগী, মহক্রোধী, ধনহীন, বরাঙ্গনা, সঙ্গমী ও লম্পট হন |
২) শুক্রের উপবেশনভাবে জাতক মণিরত্নাদি বিভূষিত, অজস্ৰ শত্রুবিনাশী,রাজমান্য ও সম্মানী হন |
৩) শুক্রের নেত্রপাণি অবস্থায় তিনি লগ্ন, ৪থ, ৭ম বা ১০ মে থাকলে জাতক যে দিকে নেত্রপাত করেন,সেই দিক হতে ধনলাভ করেন এবং উক্ত স্থান ব্যতীত অন্যত্র থাকলে জাতকের বিশাল বাসগৃহ হয় |
৪) প্রকাশভাবগত শুক্র স্বক্ষেত্রে,তুঙ্গস্থানে বা মিত্রগৃহে থাকলে জাতক তুঙ্গ মাতঙ্গের মতো বিচরণ করেন |তিনি রাজতুল্য,গীতবিদ ও কাব্যকলা কৌতুকী হন |
৫) জন্মকালে শুক্র গমনভাবস্থ থাকলে জাতকের মাতা জীবিত থাকে না |রোগ হেতু আত্মজন বিয়োগ হয় ; জাতক শত্রুভীত হন |
৬) শুক্রের আগমনভাবে জাতক ধনেশ্বর, তীর্থভ্ৰমী ও নিত্য উৎসাহী হলেও হস্ত ও পদে রোগগ্রস্থ হন |
৭) শুক্রের সভাবসতি ভাবে জাতক অনায়াসেই উচ্চপদ লাভ করেন |রাজসভায় তিনি প্রগলভ হলেও গুণবিজ্ঞ হন এবং তিনি শত্রুনিপাতকারী, ধনপতি কুবের সদৃশ ঐশ্বৰ্য্যশালী বা দাতা বা চতুরঙ্গ বলযুক্ত নরবর হন |
৮) শুক্রের আগমভাবে জাতকের অর্থাগম হয় না | সে শত্রু কর্তৃক অতীব ক্ষতিগ্রস্থ হয় | তার পুত্রহানি ঘটে ও জন্মাবধি রোগভয় থাকে |সে জন্য জাতক দাম্পত্য সুখভোগ করতে পারে না |
৯) শুক্রের ভোজনভাবে জাতক মহাধনী হন | তিনি সর্ব্বদা পন্ডিতমন্ডলী ও যুবতী কর্তৃক পরিবেষ্টিত থাকেন |
১০) শুক্রের নৃত্যলিপসাভাবে জাতক কাব্যবিদ্যাদি আলোচনায় সর্ব্বদা আনন্দলাভ করেন | তিনি শঙ্খ –বীণা –মৃদঙ্গদী বাদ্য বদনে নিপুণ ও গায়ক হন এবং দিন দিন তার ধানোন্নতি ঘটে |
১১) শুক্রের কৌতুকভাবে জাতক ইন্দ্রের ন্যায় মহৎ ও বিদ্বান হন এবং কমলা সর্ব্বদা তার ভবনে বিরাজ করেন |
১২) শুক্র নিদ্রাভাবস্থ হলে জাতক পরসেবক,পরনিন্দাপর,বীর,বাচাল ও ভ্রমণরত হয় |