চন্দ্রের অপর নাম সোম | ইনি মানবীয় রূপে মাতা , চন্দ্র আমাদের মনের প্রতীক | মনকে তরল জলের সঙ্গে তুলনা করা যায় | তরল পদার্থ সর্বদাই নিম্নগামী | মনকে তাই বেশিক্ষণ উচ্চ অবস্থায় ধরে রাখা যায় না | নিম্নগামী তাই তমোগুণ সম্পন্ন চন্দ্র আমাদের মাতৃকূল | রবি পুরুষ , চন্দ্র প্রকৃতি |ইনি পুরুষের অপর রূপ সাম্রাজ্যের রাণী |
কর্কট রাশি চন্দ্রের খাসমহল | যে কোন সৃষ্টির বীজ মানসরাজ্যেই প্রথম প্রতিফলিত হয় চিন্তার আকারে | সেই চিন্তায় পরে কার্য্যে বিকাশ লাভ করে বাস্তব রূপ ধারণ করে | পুরুষ চৈতন্যের static শক্তি dynamic শক্তিতে পরিণত হয়ে মনের সাহায্যে ইন্দ্রিয়গ্রামের মাধ্যমে নূতন নূতন সৃষ্টির কাজ করে চলে জগতে | একমাত্র মনই ইন্দ্রিয়গুলির লাগাম ধরে তাদের চালনা করার ক্ষমতা রাখে| ষড়রিপুর মধ্যে “কাম ” চন্দ্রের অধীনে রয়েছে |
জলের কোন নিজস্ব রং বা আকার নেই , যে পাত্রেই জল রাখা হয় এবং যে রং এর পাত্রে জল থাকে জল সেই পাত্রের আকার এবং সেই রঙে রঙ্গিন হয়ে যায় | আমাদের মনের বৈশিষ্ট্যও সেই রকম | মন্দ লোকের সঙ্গে আমাদের মনও মন্দ হয়ে যায় এবং বাসনা-কামনার রঙে মন রাঙিয়ে যায় |
মনের অধিপতি বলে মানসিক রোগ, মোহাচ্ছন্নতা, পাগলামি সবই চন্দ্রের কারকতার মধ্যে পরে | চন্দ্রের প্রভাবে নদীতে জোয়ার ভাঁটা খেলে | আকর্ষণী শক্তি, চুম্বকশক্তি, সম্মোহন শক্তি সবই চন্দ্রের অধীন | জীবের অজ্ঞানতা, মোহাচ্ছন্নতা চন্দ্রের প্রভাবেই হয়ে থাকে | চৈত্যনের অভাবই মানুষকে অজ্ঞান করে রাখে |
চন্দ্রের (Moon) কারকতা
চন্দ্র প্রকৃতি ,মাতার , মনের ও স্মৃতির কারক |
চন্দ্র জীবনীশক্তির ধারক ও বর্ধক |
কোমলতা ,ভালোবাসা , সামাজিকতা ,সহানুভূতি ,সহৃদয়তা ,মন ,আদর্শবাদিতা , সমাজসেবা ,পুষ্টি ,দেহের সুঠামভাব ,মাতৃত্ব ,সঞ্চিত শক্তি ,মায়া ,স্নেহমমতা ,ঔদাসীন্য মানষিকশক্তি ,পরনির্ভরতা ,তরলপদার্থ জল ,চিন্তা করা,প্রেম করে বিবাহ করা |
মানবদেহে : দেহের জলীয় অংশ ,পাকস্থলী (stomach ),দেহের রাসায়নিক উপাদান|
রেশম, সূক্ষযন্ত্র ও জলজ জিনিসের ব্যবসায়ী ,কৃষক ,কৃষিকার্য ,দেশ বা জন্মভূমি , বিশ্রামগৃহ ,বাসস্থান|
শ্বেতবর্ণ
ঋতু:-বর্ষা |-মুক্তা ,শঙ্খ ,রূপা (silver ), কাঁসা (bell ) |
রোগ : পাকস্থলীর পীড়া ,শ্লেষ্মা ,বায়ু ,স্নায়ুরোগ ,পাগল হওয়া ,যক্ষ্মা | বাস্তু মতে -উত্তর -পশ্চিম দিক |জন্মনক্ষত্র : কৃত্তিকা (3),রোহিনী (4 )