রবি – সূর্য প্রতিদিনই পূর্বদিকে উদিত হচ্ছেন এবং পশ্চিমে অস্ত যাচ্ছেন | প্রকৃতপক্ষে সূর্যের উদয় -অস্ত বলে কিছু নেই | এ দেশে অস্ত গেলেও অন্য দেশে আলো দেন সেই সময়ে | সর্বদাই জেগে থাকেন বলে সর্বদ্রষ্টা , সর্বকাজের সাক্ষীস্বরূপ | আমাদের আত্মাও আমাদের অন্তরে বাস করে জ্ঞানের একটি দীপ শিখা সর্বক্ষণই জ্বেলে রেখেছেন| তিনিই আমাদের অন্তরে সদাজাগ্রত “সাক্ষীপুরুষ “|
রবিই মহাকালের প্রতীক | আবহমান কাল ধরে তাঁর সপ্তাশ্ব রথের সাহায্যে (সাতটি দিন ) কাল প্রবাহকে টেনে নিয়ে চলেছেন দিন , রাত্রি , ঘন্টা , মিনিট, সেকেন্ডের মাস ও বছরের রূপ ধরে | আমাদের মনই এই রথের সারথী যিনি ১০ টি ইন্দ্রিয়কে চালনা করছেন , তাই মনের অপর নাম ‘দশরথ’ |
রবির স্বক্ষেত্র সিংহ রাশির সিংহ যেমন পশুরাজ , গভীর অরণ্যে নিঃসঙ্গ , একাকী বিচরণশীল, দিবাকরও তেমনি রাশিচক্রে অনন্ত আকাশের মধ্যে একাকী বিচরণশীল | তাঁর ধারে–কাছে কেউ যেতে পারে না |
বাস্তব জীবনে রক্ত জল করা উপার্জিত অর্থ – সুদের কারবারি, আইনের সাথে যুক্ত ব্যক্তি, নার্সিংহোম, রাজনৈতিক ভুঁইফোড় সেই অর্থ শোষণ করে নেয়, তারা সকলেই রবি গ্রহের অধীনস্ত |
রবি অগ্নিদ্যোতক | অগ্নির কাজ জ্বালা দেওয়া , পুড়িয়ে দেওয়া | সুতরাং অত্যন্ত ঝাল খাবার যা গলা ও পেটে জ্বালা ধরিয়ে দেয় সবই রবির অন্তর্গত | রবির অগ্নি একদিকে যেমন জ্বালাদায়ক , অপরদিকে অসুস্থ ব্যক্তির কাছে জীবনীশক্তি– দায়ক, শীতকালে আমরা রোদে বসে আরাম পাই | কোমরের ব্যাথায় সেঁক দিয়ে সুস্থ বোধ করি | এ সবই রবির কারকতার মধ্যে পড়ে |
রবি (Sun) গ্রহের কারকতা
রবি পিতার ,আত্মার ,জ্ঞানের ,আলোর ও জীবনীশক্তির কারক |- গৌরব ,মর্যাদা ,শৃঙ্খলা ,ইচ্ছাশক্তি ,আত্মবিশ্বাস ,আত্মসম্মান ,অহংকার , গাম্ভীর্য্য ,ঔদার্য্য ,মহত্ত্ব , যশ , নেতৃত্ব ,দীপ্তি , তেজ প্রভৃতি | উচ্চরাজকর্মচারী ,শাসনকর্তা , চিকিৎসক ,ইঞ্জিনিয়ার | মানবদেহে :হৃদযন্ত্র (heart ) ,সঞ্জীবনী শক্তি (inner vitality force ) ,দৃষ্টিশক্তি ,রক্তবাহী শিরা–উপশিরা | স্বর্ণ ,পারদ ,তামা ,মানিক | আগুনে লাল |ঋতু : গ্রীষ্ম – জন্মনক্ষত্র : বিশাখা (16 ),অনুরাধা (17 ) | রোগ :পিত্তসম্বন্ধীয় পীড়া ,জ্বর ,চক্ষুরোগ ,শিরা \স্নায়ুর রোগ ,হৃদযন্ত্রের বা ফুসফুসের রোগ |জীবনদায়ী ঔষধ |বাস্তু মতে –পূর্বদিক |