একাদশপতির দশা বা একাদশভাব
জ্যোতিষ বিষয়ে উৎসাহী মানুষদের মধ্যে বহু মানুষই আছেন যারা বিভিন্ন বই পরে জ্ঞানার্জন করে থাকেন | এতো এক মহাসমুদ্র, তাই সকল বিষয়ের ওপর অনেক বইতেই অনেক কিছু সবিস্তারে আলোচনা করা হয়ে ওঠেনা | তাই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় যেগুলো বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়, সেগুলোর ওপর আমি আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি | সেইরকমই একটা বিষয় হলো বিভিন্ন ভাবাধিপতি অনুযায়ী দশা বিচার | আপনার জন্মকোষ্ঠী দেখুন| বর্তমানে কোন ভাবাপতির দশা চলছে দেখুন |
একাদশপতির দশা সচরাচর জটিলতার সৃষ্টি কারক হয়ে থাকে |
একাদশপাতি যদি লগ্নের একাদশে অবস্থান করে দ্বিতীয়পতির সঙ্গে সম্মন্ধ করে অথবা দ্বিতীয় পতির সঙ্গে সম্মন্ধযুক্ত হয়ে যদি লগ্নের কেন্দ্রে (১|৪|৭|১০) অবস্থিত হয় তবে এরূপ ক্ষেত্রে একাদশ পতির দশায় যোগাযোগ বৃদ্ধি ঘটে, নানাবিধ সাফল্য এবং আয়ু বৃদ্ধি ঘটে থাকে |
কিন্তু কোনো শুভ গ্রহ কেন্দ্রপতি তথা একাদশপতি হলে (কর্কট লগ্নে শুক্র যেমন কেন্দ্রপতি {চতুর্থ পতি} ও একাদশপতি) এরূপ একাদশপতির দোষ শুভাশুভ মিশ্র ফলপ্রদ হবে |
একাদশ পতি দু:স্থানগত (৬ |৮ |১২) হয়ে নীচস্থ, অস্তগত বা দুর্বল হলে একাদশপতির দশান্তর্দশা কাল জাতক জাতিকার পক্ষে নানাবিধ ভাবে অশুভ হয়ে থাকে |
কারণ দু:স্থানস্থ তথা নীচস্থ বা অস্তগত বা দুর্বল একাদশপতির দশান্তর্দশায় পত্নীর কষ্ট, সন্তান কষ্ট, অগ্রজ, জামাতা ও পুত্রবধূর দ্বারা অশান্তি এবং পত্নীর গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে যাবার আশঙ্কা থাকে |
একাদশভাবে অর্থাৎ আয়ভাবে শুভগ্রহ অবস্থান করলে – এরূপ জাতক সচরাচর সৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করে থাকে |
লগ্নের একাদশস্থান আয়স্থান |অতএব একাদশভাবে যে গ্রহে অবস্থান করুক না কেন, উক্ত গ্রহ স্বীয় কারকতা অনুযায়ী আয় বিষয়ে শুভ বা অশুভ হয়ে থাকে |
Note: দশা বিচার করার আগে একথা সর্বদা মনে রাখা দরকার যে – জন্মকুণ্ডলীতে কোনো গ্রহ শুভভাবের অধিপতি হয়ে জাতকের কর্ম ও ভাগ্যের উপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করলে, অশুভ গ্রহের অন্তর্দশার মধ্যে বা গোচরে আশর্য্যজনক বা অপ্রত্যাশিতভাবে মাঝে মাঝে শুভ ফল প্রদান করে থাকে|