দ্বাদশপতির দশা বা দ্বাদশ ভাব
দ্বাদশ ভাব ব্যয়স্থান |দ্বাদশপতি নিজের প্রভাব অনুযায়ী স্বীয় দশাকালে ফল দান করে না –অপর কোনো ভাবপতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তদানুযায়ী ফলাফল প্রদান করে থাকে |অর্থাৎ দ্বাদশপতি যে গ্রহের সঙ্গে সন্মন্ধে আবদ্ধ হয় তদনুযায়ী ফল প্রদান করে থাকে |
দ্বাদশপতি কোনো শুভগ্রহের সঙ্গে সন্মন্ধে আবদ্ধ হলে স্বীয় দশাকালে শুভ ফল প্রদান করে থাকে, এবং অশুভ গ্রহের সঙ্গে সন্মন্ধে আবদ্ধ হলে স্বীয় দশাকালে অশুভ ফল প্রদান করে থাকে |
দ্বাদশপতি শুভগ্রহ হয়ে লগ্নের দ্বাদশে অর্থাৎ স্বক্ষেত্রে অবস্থান করলে – এরূপ দ্বাদশপতির দেশান্তর্দশায় সৎকর্মে অর্থ ব্যয় হয়ে থাকে | জাতক নানাবিধ বিপদ থেকে পরিত্রান লাভ করে |এরূপ দশায় জাতকের ঋণমুক্তি পর্যন্ত ঘটে |ঋণমুক্ত হওয়া তো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ব্যাপার |
দ্বাদশপতি নীচস্থ বা অস্তমিত হলে অথবা কোনো অশুভ ভাবপতির সঙ্গে সন্মন্ধে আবদ্ধ হলে, এরূপ দ্বাদশপতির দশান্তর্দশায় ঋণ, সন্তানহানি, মামলা মোকদ্দমায় ক্ষতি, অযথা অর্থব্যয় বা অর্থহানি হয়ে থাকে |
দ্বাদশপতি জন্ম সময়ে লগ্নের সপ্তমে অবস্থিত হলে পত্নী বা পতিভাবের ক্ষতি করে |এরূপ জাতক কে সচরাচর দ্বিতীয় বার বিবাহ করতে বাধ্য হতে হয় |
Note: দশা বিচার করার আগে একথা সর্বদা মনে রাখা দরকার যে – জন্মকুণ্ডলীতে কোনো গ্রহ শুভভাবের অধিপতি হয়ে জাতকের কর্ম ও ভাগ্যের উপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করলে, অশুভ গ্রহের অন্তর্দশার মধ্যে বা গোচরে আশর্য্যজনক বা অপ্রত্যাশিতভাবে মাঝে মাঝে শুভ ফল প্রদান করে থাকে|