বৃষরাশির ব্যক্তিরা কোন রত্ন ধারণে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছবে ?
রাশিচক্রের দ্বিতীয় রাশি হল বৃষ বা Taurus | শুক্রগ্রহ এই রাশিটিকে নিয়ন্ত্রিত করে | শুক্র বৈষয়িক সুখ ও সন্তানকারক | এই শুক্রের স্থানের নীচ থেকেই জাতকের জীবন রেখা শুরু হয়েছে | এটির পুষ্টতার উপর নির্ভর করেই ব্যক্তির আবেগ ও সেক্সচুয়াল পাওয়ারের বিচার হয় | শুক্র গ্রহের রত্ন হল হীরে | হীরে অত্যন্ত ঝকঝকে | রোদে রাখলে রামধনুর মতো নানা রঙ বিচ্ছুরিত হয় |
যদি কোনও জাতকের জন্মকুণ্ডলীতে শুক্র পীড়িত, দুর্বল , শত্রুগৃহে অথবা নেতিবাচক স্থানে অবস্থান করে তবে শুক্রগ্রহ সেই জাতকের ক্ষেত্রে অশুভ ফল প্রদান করে থাকে | হীরে ব্যবহারের মাধ্যমে জাতকের ক্ষতিকর প্রভাব অনেকাংশে কমে যায় এবং ভালো ফলাফল প্রদান করে | শুক্রের অশুভ স্থিতির উপর নির্ভর করেই ব্যক্তির জীবনীশক্তি ও প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায় | রক্তমুখী বা কালোমুখী হীরে ধারণ করা অত্যন্ত অশুভ | অতএব এই হীরা কেউ ধারণ করে থাকলে তা পরিত্যাগ করাই বাঞ্ছনীয় | এই পাথর ধারণ করলে ধন দৌলত সঞ্চয় হয় |ইহার ফলে জাতকের সম্পত্তি বৃদ্ধি পায় | এমনকি , যদি জন্মকুণ্ডলীতে শুক্রগ্রহ শুভ স্থানে অবস্থান করেও থাকে , হীরে গ্রহণে শুভ ফলাফল আরও বৃদ্ধি পায় | হীরক লেখক , শিল্পী, গায়ক, অভিনেতারা বেশি ব্যবহার করেন | কোনো কোনো দেশের স্ত্রীলোকেরা নিজের স্বামী বা প্রেমিককে এই পাথর তাবিজের মত পরতে দিত, কারণ তাদের বিশ্বাস ছিল যে , এই রত্নের প্রভাবে তার স্বামী বা প্রেমিক তার সঙ্গে স্থায়ী ভাবে প্রেম করবে | তাদের ভালোবাসায় কোনো অশান্তি আসবে না | এই রত্ন বৃষরাশির মানুষদের দুঃখ দারিদ্র থেকে রক্ষা করে এবং তাকে ধনবান করে তোলে |
বহু প্রাচীনকাল থেকেই হীরে সারা বিশ্বে মূল্যবান পাথর বলে মানা হয়েছে | রত্নের মধ্যে হীরাকে সম্রাট বলে মনে করা হয় | পৃথিবীর বড় বড় সম্রাট, রাজন্যবর্গ, মহারাজগণ, ধনবানগণ নিজের ঘরে অধিক থেকে অধিক হীরা এর গুণের জন্যই রাখতেন | স্ত্রীলোকের সতীত্ব, পবিত্রতার পরীক্ষা হীরার সাহায্যে করা যায় |
স্বামী রাত্রে নিজের স্ত্রীর মাথার উপর, যখন সে ঘুমিয়ে পড়বে, সেই সময় স্ত্রীর অজান্তে রত্নটি রেখে দেবে | যদি স্ত্রী এটা জানতে না পারে এবং তার মুখটি স্বামীর দিকে রেখে দেয় , তাহলে তাকে পবিত্রতা স্ত্রী বলে বুঝতে হবে | কিন্তু যদি এ অবস্থায় স্ত্রী তার মুখ স্বামীর দিক থেকে ফিরিয়ে শোয় বা মুখ ঘুরিয়ে নেয় , তাহলে তাকে দুশ্চরিত্রা বলে বুঝতে হবে |
হীরে শুক্রগ্রহের দোষ নাশ করে | এটি ধনদায়ক, ধাতু দুর্বলতানাশক এবং স্বাস্থ্যবর্ধক | জাতক হীরে ধারণ করলে তাদের সাহস, কাজ করার শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মনে দৃঢ়তা আসে এবং তার সফলতার সুযোগ খুব শীঘ্র সে স্বয়ং তৈরি করে নেয় | হীরক ধারণে ধারণকারী নিজের দায়িত্ব খুব ভালো ভাবে পালন করে | অল্পদিনের মধ্যেই তার খ্যাতি ও যশ ছড়িয়ে পরে | যদি জাতক হীরে ধারণ করে থাকেন তবে অর্থনৈতিক উন্নতি , কর্মোন্নতি এবং প্রচুর অর্থপ্রাপ্তি ঘটে | হীরা ভস্ম শুক্রের সম্বন্ধিত অঙ্গে ও রোগে ভালো কাজ করে | এটি ধারণেও শুভ ফল পাওয়া যায় | ২ রতি হীরা ধারণ করলে প্রমেহ রোগ দূর হয় |
রবিবার বাদে শুক্লপক্ষের যে কোন দিন হীরে ধারণ করা যায় |