নবমপতির দশা ও নবমভাব
জ্যোতিষ বিষয়ে উৎসাহী মানুষদের মধ্যে বহু মানুষই আছেন যারা বিভিন্ন বই পরে জ্ঞানার্জন করে থাকেন | এতো এক মহাসমুদ্র, তাই সকল বিষয়ের ওপর অনেক বইতেই অনেক কিছু সবিস্তারে আলোচনা করা হয়ে ওঠেনা | তাই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় যেগুলো বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়, সেগুলোর ওপর আমি আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি | সেইরকমই একটা বিষয় হলো বিভিন্ন ভাবাধিপতি অনুযায়ী দশা বিচার | আপনার জন্মকোষ্ঠী দেখুন | বর্তমানে কোন ভাবাপতির দশা চলছে দেখুন |
নবমভাব হলো ভাগ্যভাব ও ধর্মভাব | নবমপতি ও নবমভাব বিশেষ শুভকারক |নবমপতির দশায় ভাগ্য ,মানবতাবোধ ও ধর্মভাবের বিনাশক |নবম ভাব যদি শুভ হয় এবং সেই সঙ্গে যদি পঞ্চম ভাব শুভ হয় ,তবে ভক্তি ও সাধনার ক্ষেত্রে বিশেষ উন্নতিলাভ সম্ভব হতে পারে |ধর্মস্থান দর্শন ,তীর্থ ভ্রমণ ,সন্মানলাভ প্রভৃতি এরূপ গ্রহের দশান্তর্দশায় লাভ হয়ে থাকে |
নবমপতির দশান্তর্দশায় বিশেষ সন্মানলাভ, উপাধিলাভ, বিশ্ববিদ্ধালয়ের ডিগ্রীলাভ বিদেশ ভ্রমণ জনিত সুখলাভ প্রভৃতি শুভ হয়ে থাকে |
কিন্তু নবমপতি জন্মকুণ্ডলীতে দুর্বল, নীচস্থ বা দু:স্থানস্থ (৬ |৮ | ১২ |) হলে এরূপ দশান্তর্দশায় নানাবিধ অশান্তি তথা ভাগ্যহানি ঘটতে পারে |
কোনো পাপগ্রহ বিরুদ্ধভাবাপন্ন হয়ে জন্মকুণ্ডলীতে লগ্নের নবমে অবস্থান করলে ঐরূপ গ্রহের দশান্তর্দশায় জাতক জাতিকার ভাগ্য বিপর্যয় ঘটতে পারে |
Note: দশা বিচার করার আগে একথা সর্বদা মনে রাখা দরকার যে – জন্মকুণ্ডলীতে কোনো গ্রহ শুভভাবের অধিপতি হয়ে জাতকের কর্ম ও ভাগ্যের উপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করলে, অশুভ গ্রহের অন্তর্দশার মধ্যে বা গোচরে আশর্য্যজনক বা অপ্রত্যাশিতভাবে মাঝে মাঝে শুভ ফল প্রদান করে থাকে|