মনোবাঞ্ছা পূরণার্থে গোমেদ ধারণকারীর কি কি করণীয় ?

মনোবাঞ্ছা পূরণার্থে গোমেদ ধারণকারীর কি কি করণীয় ?

রাহুর রত্ন গোমেদ | রাহু হল পাপগ্রহ | তাই এর অশুভ স্থিতি মানুষের ক্ষতি করে | এটি জাতকের শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক স্তরে ক্ষতিসাধন করে | তাই রাহুকে বশে রাখার জন্য গোমেদ ধারণ করা হয় | সিংহলী গোমেদ ধারণ করাই উচিত | তবে অবশ্যই দেখে নেওয়া উচিত সেটি যেন দাগ, গর্ত ও ফাটলমুক্ত হয় | এই গোমেদ ধরণের কিছু নিয়মকানুন রয়েছে | যা মেনে চললে শুভ ফল লাভ সম্ভব | রত্নের সঙ্গে উপযুক্ত ধাতু নির্বাচন ভীষণভাবে প্রয়োজন | তামা অথবা রূপোতে গোমেদ ধারণ করলে ভালো ফল পাওয়া যায় | পূজা আর্চার মাধ্যমে রত্নের মধ্যে শক্তি প্রদান করা হয় , যা উপযুক্ত ধাতু সহযোগে নির্দিষ্ট দিন ও সঠিক সময়ে ধারণ করলে ফলাফল অত্যন্ত শুভ হয় |          

যে কোন বুধবার সকাল টা থেকে টার মধ্যে অথবা দুপুর টা এবং টা মধ্যে পূজা করা উচিত

প্রয়োজনীয় পূজা সামগ্রী 

) একটি সাপের প্রতিকৃতি ) বাদামি কাপড়ের টুকরো ) ৫০০ গ্রাম কালো কলাই ডাল ) চন্দন, সিঁদুর ) একই রকমের ২২ টি কয়েন ) ১৬ টি ফুল ) হলুদ চাল ) দুধ কলা দিয়ে তৈরী করা প্রসাদ |

পদ্ধতি 

সাপের প্রতিকৃতি সামনে রাখুন | তার চারিদিকে বাদামি কাপড় মেলে দিন | হাফ কেজি কালো কলাই ডাল এর উপর ছড়িয়ে দিন এবং পুনরায় বাদামি রঙের কাপড় তার উপর রাখুন | আবার কলাই ডাল এর উপর ছড়িয়ে দিন | গোমেদের আংটি ভালো করে ধুয়ে চন্দন এবং সিঁদুর লাগান | একটি ফুল নিয়ে সেটি আংটির সঙ্গে লাল সুতো দিয়ে বাঁধুন | এখন গোমেদ আংটিটিকে কালো কলাই এর উপর রাখুনএর চারিদিকে ২২ টি কয়েন এবং ১৬ টি ফুল সাজান | এবার হলুদ চাল নিয়ে রাহু মন্ত্র ১০৮ বার জপ করুন | পূজা শেষে , দুধের সঙ্গে কলা মিশিয়ে নিবেদন করুন | পূজা শেষ হলে বাদামি কাপড়টি ১৭ টুকরো করুন | প্রত্যেক ভাগে কলাই ডাল রাখুন | একটি কয়েন রাখুন এবং ডাল সহ কয়েনকে বেঁধে ১৭ টি বান্ডিল করুন এবং ১৭ জন ভিখারির মধ্যে দান করুন | বাকি টি কয়েন নিজের টাকা রাখার বাক্সতে তুলে রাখুন |

রাহু মন্ত্র 

নাগা দ্বাজায়া বিধমাহে 

পদ্মা হস্থায় ধীমহি 

তন্ন রাহু প্রচোদয়াৎ

Author Bio

Related Posts