লগ্নপতির দশা ও লগ্নভাব
জ্যোতিষ বিষয়ে উৎসাহী মানুষদের মধ্যে বহু মানুষই আছেন যারা বিভিন্ন বই পরে জ্ঞানার্জন করে থাকেন | এতো এক মহাসমুদ্র, তাই সকল বিষয়ের ওপর অনেক বইতেই অনেক কিছু সবিস্তারে আলোচনা করা হয়ে ওঠেনা | তাই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় যেগুলো বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়, সেগুলোর ওপর আমি আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি | সেইরকমই একটা বিষয় হলো বিভিন্ন ভাবাধিপতি অনুযায়ী দশা বিচার | আপনার জন্মকোষ্ঠী দেখুন | বর্তমানে কোন ভাবাপতির দশা চলছে দেখুন |
লগ্নপতি লগ্নভাব অর্থাৎ তনুভবের অধিপতি |অতএব লগ্নপতির মহাদশায় জাতক জাতিকার ব্যাক্তিত্বের বিকাশ, কান্তি,পুষ্টি এবং সন্মানলাভ ঘটে |
কিন্তু লগ্নপতি দুঃস্থ,পীড়িত বা দুর্বল না হলে লগ্নপতির মহাদশা কালে উপরোক্ত শুভফল লাভ হবে |
(ক) লগ্নপতি দুর্বল হলে – এরূপ মহাদশা কালে বার বার দেহের রোগ, কষ্ট ও নানা ব্যাপারে উত্যক্ত হতে হবে | অতএব আপনার কোষ্ঠী–অনুযায়ী বর্তমানে যদি লগ্নপতির দশা চলে –তবে দেখুন লগ্নপতি দুঃস্থ, দুর্বল ও পীড়িত কিনা |
লগ্নপতি শুভ হলে (লগ্নপতি যদি অষ্টমপতি হয়) তবে এরূপ দশাপ্রাপ্ত জাতক জাতিকার পক্ষে ক্ষতিকর হবে না|
Note: মেষলগ্নের পক্ষে মঙ্গল লগ্নপতি ও অষ্টমপতি |
কুম্ভলগ্নের শনি লগ্নপতি তথা দ্বাদশপতি (কারণ মকররাশির অধিপতিও শনি) অতএব শনির শুভাশুভ অবস্থান অনুযায়ী এই লগ্নের ক্ষেত্রে লগ্নপতির দশার শুভাশুভত্ব নির্ণয় করতে হবে |
মকর লগ্নের ক্ষেত্রে শনি লগ্নপতি তথা দ্বিতীয়পতি| অতএব শনি দ্বিতীয়ায় থাকলে অথবা মঙ্গল, বৃহস্পতি ও চন্দ্রের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হলে মারকদোষে লগ্নপতি শনি দোষী হবে |
Note: দশা বিচার করার আগে একথা সর্বদা মনে রাখা দরকার যে – জন্মকুণ্ডলীতে কোনো গ্রহ শুভভাবের অধিপতি হয়ে জাতকের কর্ম ও ভাগ্যের উপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করলে, অশুভ গ্রহের অন্তর্দশার মধ্যে বা গোচরে আশর্য্যজনক বা অপ্রত্যাশিতভাবে মাঝে মাঝে শুভ ফল প্রদান করে থাকে|