চুনির ( Ruby) কার্যক্ষমতা বাড়াতে শাস্ত্র মতে কি করণীয় ?
কোনো ব্যক্তি যখন রত্ন ধারণ করতে ইচ্ছুক হয় সেটি বহু মূল্যবান কিংবা আধা মূল্যবান যাহাই হোক না কেন, একটি নির্দিষ্ট ধার্য দিনে রত্নটির কিছু পূজো পদ্ধতি বা আচার পালন করার পরই তা ধারণ করা উচিত | এই আচার পালন করার ফলে আমরা গ্রহের ক্ষমতা সম্পর্কে সজাগ হই , যা রত্নটিতে প্রদান করা হয়েছে | ফলে রত্নটি খুব তাড়াতাড়ি কার্যকরী হয়ে ওঠে | নবরত্ন পূজো খুব বড় করে পালিত হয় | একটি নির্দিষ্ট গ্রহের গ্রহগত আকর্ষণ একটি নির্দিষ্ট রত্ন বহন করে | ফলস্বরূপ , নির্দিষ্ট গ্রহের নির্দিষ্ট দিনে আচার পালন করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায় | ইহা গ্রহের প্রভাবটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলে | এই আচার বা রীতিনীতি পালনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট গ্রহের অনুগ্রহ বা কৃপা আকর্ষণ করা যায় | ধাতুও এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে | ধাতু গ্রহ এবং নক্ষত্রের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত | সুতরাং সঠিক রত্নের সঙ্গে সঠিক ধাতু ধারণ একান্ত প্রয়োজন | রত্ন ও ধাতুর মধ্যকার সম্পর্ক অপরিবর্তনীয় |
রবি গ্রহের জন্য উপযুক্ত ধাতু হবে তামা বা সোনা | রত্ন ও ধাতুর সঠিক সংমিশ্রণ এবং তার সঙ্গে উপযুক্ত পূজো পদ্ধতি রত্নের ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি করে | তখন সঠিক সময়ে ইহাকে ধারণ করা উচিত |
১) চুনি
‘মঙ্গল হোরা ‘ চলাকালীন সকাল ৫ টা থেকে ৬ টা অথবা দুপুর ১২ টা থেকে ১ টার মধ্যে যে কোনো রবিবার এই পূজো করা উচিত |
পূজার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম
১) লাল সিল্কের কাপড় ২) গম ৩) ধূপকাঠি ৪) বাতি ৫) হলুদ ফুল ৬) গম – রাওয়া উপমা
পূজা পদ্ধতি
ভগবানের মূর্তির সামনে লাল সিল্কের কাপড় পেতে তার মধ্যে গম রাখতে হবে | তারপর আংটিকে ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে | সিঁদুর ও চন্দনের ফোঁটা পরিয়ে লাল সিল্কের কাপড়ের উপর রাখতে হবে |
এবার পঞ্চপ্রদীপ ধূপ জ্বালিয়ে হলুদ ফুল দিয়ে সূর্য মন্ত্র উচ্চারণ করে পূজো করতে হবে | প্রসাদ হিসাবে উপমা নিবেদন করা হয় | তারপর আংটিটি ধারণ করতে হবে | আংটিটি পরার পর গুড় দান করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায় |
সূর্য মন্ত্র
অস্বা দ্বাজায়া বিধমাহে
পাশা হস্থায় ধীমহি
তন্ন সূর্যা প্রচোদয়াৎ
এই সূর্য মন্ত্র ১০৮ বার উচ্চারণ করতে হবে | (পূজো শেষে হলুদ ফুল ৫ ভাগে ভাগ করে , পরিবারের লোকেদের মধ্যে বিতরণ করে দিতে হবে ) |


