কেতু – রাহুর যেমন শুধু মাথা আছে , কেতুর প্রতীক তেমনি মাথা থেকে বিচ্ছিন্ন এক অচেতন দেহ | মাথা নেই , কেতু তাই চক্ষুহীন , অন্ধত্বের কারক |
ভৌতিক এবং আধ্যাত্মিক স্তরে ” কেতয়তী চিকিৎসাযতি” বলা হয়েছে আমাদের শাস্ত্রে |
অর্থাৎ ভবরোগ এবং আধ্যাত্মিক দুই স্তরেরই চিকিৎসক এই কেতু গ্রহ | প্রাণহীন , তাই ভোগ– লালসাহীন|
কেতুর প্রভাবে বাসনা মুক্ত হতে পারলে পরমার্থ লাভ হতে পারে |
রাহুর প্রভাবে আমরা ভোগবাসনায় ডুবে গিয়ে সৎ –অসৎ উভয় পথেই অর্থ রোজগার করে আনতে পারি | বিষপানে মৃত্যু হতে পারে তাই কেতু মৃত্যুর প্রতীক নিস্প্রান দেহ |
কেতু আমাদের আত্মসন্ধানের পথ খুঁজতে সাহায্য করে এবং পরমার্থের সন্ধান দিতে পারে |
কেতু (ketu ) গ্রহের কারকতা
কেতু সম্পূর্ণ উদাসীন, প্রকাশের অভাব প্রতীক সর্প | সে সর্পের মতো ক্রূর ও স্বার্থপর –যখন অশুভ কেতু প্রবল ও বৃহ , শুক্র দুর্বল |কারকতা রহস্যময় ,গোপনীয়,হস্তপদ চক্ষুহীন, নির্জীব ,হঠাৎ কোনও ঘটনার কারক |কাপুরুষ ,অপমান ,অবনতি বাধা ,স্বার্থপরতা ,নিদ্রালুতা,কর্মবিরতি,বন্ধন ,কৈবাল্য ,পশুত্ব ,অবসাদ ,নির্বুদ্ধিতা,অবচেতন ,শক্তিহীনতা ,হৃদয়হীনতা ,চোর ,আত্মজ্ঞান ,গভীরশান্তি ,সহজবুদ্ধি | কারাগার ,কয়েদী,রোগীর ঘর , হাসপাতাল| ধূম্রবর্ণ ,বৈদূর্য্যমনি (cats -eye )|রোগ : ফুসফুসের রোগ , জ্বর, চোখে ব্যথা ,সর্বগাত্রে ব্যথা ,যে সকল ব্যাধির কারণ সহজে জানা যায় না |বাস্তু মতে – কোনো দিক নাই | জন্মনক্ষত্র : অশ্লেষা (9 )