জন্মছকে চন্দ্র উপবেসনভাবে থাকলে জাতকের জীবনে কোন ধরণের সমস্যা হতে পারে?
জ্যোতিষ শাস্ত্রের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক দিক গুলি নিয়ে বহু গুনী জন আলোকপাত করেছেন এবং এখনো করে চলেছেন। সেই লেখা গুলি পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে জ্যোতিষ সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা মানুষের তৈরি হয়েছে। কিন্তু একটা বিষয়ে সাধারণ মানুষের ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি যে কি ভাবে জ্যোতিষ বিচার ও প্রতিকারের দ্বারা নিশ্চিত ভাবেই উপকৃত হওয়া যায়। জন্মছকে চন্দ্র উপবেস বিষয়টা খুব সহজে এবং সংক্ষেপে আলোচনা করার চেষ্টা করছি।সেই আলোচনা করতে গিয়ে ভাবফল সম্বন্ধিত আলোচনা অবশ্যই জরুরি |
চন্দ্রের দ্বাদশ ভাবফল জন্মছকে
১) জন্মকালে চন্দ্র শয়নভাবে থাকলে জাতক অভিমানী, শীতাতুর, কামী ও বিত্তবিনাশক হয় |
২) চন্দ্রের উপবেশনভাবে রোগার্ত্ত, মন্দমতি, ধনহীন, কঠোর হৃদয়, অকার্য্যকারী ও পরবিত্তহারী হয় |
৩) চন্দ্রের নেত্রপাণিভাবে জাতক মহারোগী, বহুভাষী, ধূর্ত্ত ও কুকৰ্ম্ম নিরত হয় |
৪) চন্দ্রের প্রকাশভাবে জাতকের বিমল গুণরাশি অবনীতে প্রকাশ পায় |জাতকের মনে নব নব আশার সঞ্চার হয় |জাতক গজ–বাজী পরিবৃত, লক্ষীবান, সুন্দরী যুবতীর সৌখ্যসুখভোগী এবং তীর্থদর্শনকারী হয় |
৫) চন্দ্রের গমনভাবে জাতক পাপরত, বিশেষতঃ অতিত্রুর স্বভাব হয় এবং সে সর্ব্বদাই নেত্রপীড়ায় কষ্টভোগ করে |
৬) চন্দ্রের আগমনভাবে জাতক মানী, পাদরোগী, গুপ্তপাপরত, দীন ও আনন্দহীন হয় |
৭) চন্দ্রের সভাভাবে জাতক বদান্য, রাজমান্য, সুন্দরকান্তি, কামিনী তুষ্টকারী, বিজ্ঞ, ব্যবহারজ্ঞান সম্পন্ন ও গুণজ্ঞ হয় |
৮) চন্দ্রের আগমনভাবে জাতক বাচাল ও অধার্মিক হয় |কৃষ্ণপক্ষে জন্মস্থলে জাতক দ্বিভাৰ্য্য, রোগী, দুষ্ট স্বভাব ও হঠকারী হয় |
৯) পূর্ণচন্দ্র ভোজনভাবে জাতকের মান যান ও জনসুখ লাভ হয় এবং সে স্ত্রী –পুত্র হতে সুখলাভ করে |কিন্তু কৃষ্ণপক্ষের চন্দ্র হলে জাতকের কোন শুভ হয় না |
১০) বলবান চন্দ্র নৃত্যলিপসা ভাবগত হলে জাতক বলবান, গীতজ্ঞ ও রসিক হয় |কৃষ্ণপক্ষের চন্দ্রে জাতক পাপকর্ম্মকারী হয় |
১১) চন্দ্রের কৌতুকভাবে জাতক রাজা বা ধনবান হয় |সে কামকুশলী ও বারবণিতা ও রামনছুট হয় |
১২) বলবান চন্দ্র নিদ্রাগতে জাতক মহৎ হয় এবং বলহীন ও ক্ষীণচন্দ্র নিদ্রাভাবে থাকলে অঙ্গলা হেতু সঞ্চিত বিত্তনাশ হয় |এই চন্দ্র তুঙ্গী হলে জাতকের শিবালয় কৈলাশ ধামে যাবার বাসনা প্রবল হয় |