কোন পদ্ধতিতে পান্না ধারণ করলে সর্বাধিক ফল লাভ ঘটবে ?
জীবন সমস্যাবহুল | প্রতিনিয়ত মানুষকে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় | ফলে মানুষ এর থেকে পরিত্রাণ পাবার জন্য নানা পথ খুঁজতে থাকে | কেউ কেউ আবার জ্যোতিষের দ্বারস্থ হন | সমস্যা অনুযায়ী জ্যোতিষেরা বিভিন্ন রত্ন ধারণ করার পরামর্শ দেন | বুধের রত্ন হল পান্না | এটি সবুজ ঘাসের মতো রংযুক্ত | কাঠে ঘষলে এর উজ্জ্বলতা বা চমক বেড়ে যায় | তেমনিভাবে পান্না রত্নের ক্ষেত্রেও বিশেষ কিছু নিয়ম মেনেই রত্নটি ধারণ করা উচিত | রত্নের কার্যকারিতা ধাতুর উপরও নির্ভর করে থাকে | এই রত্নের সঙ্গে যুক্ত ধাতু হল রূপো কিংবা পিতল | উপযুক্ত ধাতুর দ্বারা রত্নটি ধারণ করলে এর কার্যকারিতা অনেকাংশে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় | কিছু পুজো ও নিয়ম পালনের মাধ্যমে বুধবার সঠিক সময়ে রত্নটি ধারণ করলে শুভ ফললাভ হয় |
“বুধ হোরা” র সময় সকাল ৬–৭ অথবা দুপুর ১–২ মধ্যে বুধবার পূজা করা উচিত |
প্রয়োজনীয় পূজার সামগ্রী
১) একটি প্লেট ২) রূপো বা স্টিল এর তৈরী একটি কলস ৩) চাল ৪) চন্দন, সিঁদুর ৫) পাঁচটি পান পাতা ৬) নারিকেল ৭) সবুজ কাপড় ৮) ফুলের মালা ৯) দুধ, চিনি, স্যাফরন , মিছরি, এলাচ , খাওয়ার কর্পূর এবং গোলাপ জল ১০) প্রসাদ হিসেবে যে কোনো মিষ্টি |
পদ্ধতি
একটি প্লেট নিয়ে তার উপর চাল ছাড়িয়ে দিতে হবে | এবার কলস নিয়ে চন্দন দিয়ে তিনটি করে লাইন পাঁচবার আঁকতে হবে | সিঁদুর দিতে হবে | এবার চালের প্লেটের উপর কলসটি বসাতে হবে | কলসে দুধ ঢেলে চিনি, স্যাফরন, মিছরি, এলাচ, খাওয়ার কর্পূর এবং খাওয়ার গোলাপ জল মেশাতে হবে | এখন পান্নার আংটি কলসে দুধের মধ্যে রাখতে হবে | পাঁচটা পান পাতা কলসে দিয়ে তার উপর নারিকেল রেখে তার উপর চন্দন , সিঁদুর লাগাতে হবে | সবুজ কাপড় , ফুলের মালা রেখে লক্ষী মন্ত্র ৩২৪ বার অর্থাৎ ১০৮ করে তিন বার জপ করতে হবে | প্রসাদ হিসাবে মিষ্টি প্রদান করা হয় | পূজা শেষে পান্নার আংটি পরিধান করে সবুজ ছোলা বিতরণ করতে হবে |
লক্ষ্মী মন্ত্র
মহা ডিভাইছা বিধমাহে
বিষ্ণু পাটনাইচা ধীমহি
তন্ন লক্ষ্মী প্রচোদয়াৎ
