শনি কে কেন নৈসর্গিক মারক গ্রহ বলা হয় ?
আজকাল জ্যোতিষ শাস্ত্রের যে কোন বই পড়তে গেলে ,প্রথমেই নজরে পড়ে যে ,তাতে গ্রহ ও রাশির সম্বন্ধে কতকগুলো জিনিষ গোড়াতেই মেনে নেওয়া হয়েছে | কিন্তু তা মেনে নেবার কারণ কী ,এবং তার পেছনে কোন উপপত্তি আছে কিনা ,সে সম্বন্ধে কোন উচ্চবাচ্য কোথাও পাওয়া যায় না | যে কোন বই খোলা থাক, প্রথমেই দেখতে পাওয়া যায় –বৃহস্পতি –শুক্র শুভগ্রহ; শনি–মঙ্গল পাপগ্রহ; চন্দ্র–বুধ কখনও পাপ ,কখনও শুভ প্রভৃতি ;-কিন্তু কেন,অথবা কী সূত্র অবলম্বন করে যে তাদের এরকম সংজ্ঞা নির্দেশ করা হয়েছে এবং ‘পাপগ্রহ‘ ‘শুভগ্রহের‘ অর্থই বা কী ,তার কোনো ব্যাখ্যা কোথাও নেই ,অথচ এই ব্যাপারগুলি না জানলে একটি কোষ্ঠীর ভিতরকার ভাব ধরা সম্ভব নয় এবং এইগুলি না জানা থাকাতেই অনেক সময় কোষ্ঠীর ফলাদেশে নানারকম ভ্রম প্রমাদ এসে পরে | কেমন করে, তা পরে বোঝা যাবে |
রাশিগুলি যেমন জড় পদার্থ ও জড়শক্তির জ্ঞাপক| গ্রহগুলি তেমনি প্রানবন্ত পদার্থ ও চেতন শক্তির জ্ঞাপক | আমাদের জগতে শক্তির দুটি লীলা পাশাপাশি চলছে –জীবন ও মৃত্যু , সৃষ্টি ও ধ্বংস ,সংযোগ ও বিয়োগ | গ্রহগুলিকে এই হিসাবে দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায় -(১) সংযোগাত্মক বা সৃষ্টিজ্ঞাপক ,(২) বিয়োগাত্মক বা ধ্বংসজ্ঞাপক | রবি ,মঙ্গল, বৃহস্পতি প্রথম শ্রেণীর অন্তর্গত ;শনি, শুক্র ,বুধ দ্বিতীয় শ্রেণীর | কেন এই রকম ভাগ করা হল, তা বুঝতে হলে ,আকাশে কোন গ্রহ কিভাবে আছে তা একটু জানা দরকার |
একথা আমরা সকলেই জানি যে ,সূর্যকে বেড় দিয়ে গ্রহগুলো সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে এবং সূর্যকে বেড় দিয়ে ঘোরবার এই পথ প্রত্যেক গ্রহের জন্যে পৃথক ও নির্দিষ্ট – তুলনায় কেউ সূর্যের কাছ দিয়ে ঘোরে ,কেউ অনেক দূর দিয়ে ঘোরে | বুধ সূর্যের সব থেকে কাছে ,তারপর শুক্রের ,তারপর পৃথিবীর ,তারপর মঙ্গলের ,তারপর বৃহস্পতির ,তারপর শনির | এখন সূর্যকে প্রথম ধরে যদি গ্রহগুলিকে সাজানো যায় তাহলে এই রকম হবে – সূর্য ,বুধ ,শুক্র ,পৃথিবী ,মঙ্গল ,বৃহস্পতি ,শনি |
আমরা পৃথিবীর জীব ,পৃথিবী আমাদের ক্ষেত্র ,এই ক্ষেত্রের উপর সৃষ্টি ও ধ্বংসের লীলা চলছে | রাশিচক্রে পৃথিবী যেখানে থাকে ,কোষ্ঠিতে সেটাকে লগ্ন বলে | এখন পৃথিবী থেকে যদি গ্রহের কক্ষাগুলি দেখা যায় এবং সূর্যকেও যদি গ্রহ বলে ধরে নেওয়া যায় ,তাহলে দেখা যাবে যে ,পৃথিবীর এক প্রান্তে আছেন সূর্য এবং আর এক প্রান্তে আছেন শনি | সূর্য যে সৃষ্টির এবং জীবনের কারক, তা সর্ববাদীসম্মত ; কাজেই তার বিপরীত প্রান্তস্থিত শনিকে ধ্বংস ও মৃত্যুর জ্ঞাপক বলে নির্দেশ করা অযৌক্তিক নয় | রবি এবং শনি যেন জীবন এবং মৃত্যুরূপে পৃথিবীকে দুদিক থেকে টানছে | এই জন্যেই জ্যোতিষশাস্ত্রে রবিকে আয়ূর কারক এবং শনিকে মৃত্যুর কারক বলে উল্লেখ করা হয়েছে |এইজন্যেই লগ্নাধিপতি রবির মিত্র হলে দীর্ঘায়ু এবং শত্রু হলে অল্পায়ু হয় |
সূর্য যদি সৃষ্টি বা জীবনের জ্ঞাপক হয় ,তাহলে পৃথিবী আর সূর্যের মাঝে যে যে গ্রহ আছে তারা জীবনের বাধা বা মৃত্যুর জ্ঞাপক হবে ,অতএব বুধ–শুক্র বিয়াগাত্মক বা ধ্বংস জ্ঞাপক ,কেননা পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে তাদের কক্ষা | তেমনি শনি মৃত্যুজ্ঞাপক বলে ,পৃথিবী ও শনির মধ্যে যে দুই গ্রহের কক্ষা সেই মঙ্গল ও বৃহস্পতি মৃত্যুর বাধা বা জীবনের জ্ঞাপক এবং তারা সংযোগাত্মক বা সৃষ্টিজ্ঞাপক শ্রেণীর অন্তর্গত |
অতএব গ্রহগুলির মধ্যে আমরা দুটি শ্রেণী পাচ্ছি –
(১) সৃষ্টিজ্ঞাপক – রবি ,মঙ্গল ,বৃহস্পতি |
(২) ধ্বংসজ্ঞাপক – শনি ,শুক্র ,বুধ |
এখন এই সৃষ্টি ধ্বংসের ক্রিয়া চেতনজীবদেহে অনুভূতিরূপে অভিব্যক্ত হয় | এই অনুভূতি দু রকম –সুখ ও দুঃখ অথবা আনন্দ ও বিষাদ (Pleasure and pain ) | এ ছাড়া আর এক রকম অনুভূতি হতে পারে যা সুখও নয় দুঃখও নয় ,তাকে সাম্য (Neutrality or Indifference ) বলা যেতে পারে | গ্রহগুলিকে অনুভূতির প্রকারভেদে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে | সুখের অনুভূতির জ্ঞাপক যারা তাদের শুভগ্রহ ,দুঃখের অনুভূতির জ্ঞাপক গ্রহকে পাপগ্রহ এবং সমতার অনুভূতির জ্ঞাপক গ্রহকে সমগ্রহ বলা যেতে পারে |
বৃহস্পতি ও শুক্রকে সুখের জ্ঞাপক বা শুভগ্রহ বলা হয় এবং শনি ও মঙ্গলকে দুঃখের জ্ঞাপক বা পাপগ্রহ বলা হয় | বুধকে আমরা কখনও স্পষ্ট দেখতে পাই না , সুতরাং তা সুখ–দুঃখ কিছুর জ্ঞাপক নয় এবং সূর্য সাধারণ অবস্থায় আমাদের মনে বিশেষ কোন ভাবের উদ্রেক করে না ,বিশেষ অবস্থায় কখনো আনন্দ কখনো কষ্ট দেয় ,সেইজন্য রবি ও বুধকে সমতার জ্ঞাপক বা সমগ্রহ অথবা পরিবর্তনশীল গ্রহ বলা যেতে পারে | এই হিসাবে গ্রহগুলিকে এই তিন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে |
(১ ) শুভগ্রহ (সুখজ্ঞাপক ) –বৃহস্পতি , শুক্র |
(২) পাপগ্রহ (দুঃখজ্ঞাপক ) – মঙ্গল ,শনি |
(৩) সমগ্রহ (সমতাজ্ঞাপক ) – রবি ,বুধ |
সৃষ্টি ধ্বংস হিসাবে শ্রেণীবিভাগ এবং শুভ–পাপ হিসাবে শ্রেণীবিভাগ ,এই দুটোকে এক সঙ্গে করলে আমরা দেখতে পাই –
রবি –সমতাযুক্ত সৃষ্টি জ্ঞাপক |
মঙ্গল – দুঃখযুক্ত সৃষ্টির জ্ঞাপক |
বৃহস্পতি – সুখযুক্ত সৃষ্টি জ্ঞাপক |
আবার –
বুধ – সমতাযুক্ত ধ্বংসের জ্ঞাপক |
শনি – দুঃখযুক্ত ধ্বংসের জ্ঞাপক |
শুক্র – সুখযুক্ত ধ্বংসের জ্ঞাপক |
সৃষ্টির কাজ আমাদের দেহে তিন রকমে হয় , (১) দেহের নিজের মধ্যে বৃদ্ধি (Growth ) ; (২) বাইরের হীতকারী বস্তুকে নিজস্ব করে নেওয়া (Assimilation of beneficial substance ); (৩) দেহের অনিষ্টকারী পদার্থের বহিষ্কার (Elimination of harmful substance ); – এই তিন ধরণের বৃদ্ধির জ্ঞাপক যথাক্রমে রবি, বৃহস্পতি ও মঙ্গল | |
তেমনি ধ্বংসের কাজ আমাদের শরীরে তিন রকমের হয় ; (১) দৈহিক কোষ বা পদার্থের বিনাশ ( Disintegration ); (২) দেহের অনিষ্টকারী পদার্থকে নিজস্ব করে নেওয়া (Absorption of harmful substance ) ; (৩ ) দেহের হীতকারী পদার্থের বহিষ্কার (Elimination of beneficial substance ); – এই তিন ধরণের ধ্বংসের জ্ঞাপক যথাক্রমে শনি , বুধ ও শুক্র |
তাই রবিকে স্বাভাবিক আয়ুৰ্দাতা এবং শনিকে কেন নৈসর্গিক মারক বলা হয়ে থাকে | শরীরের বৃদ্ধি এবং নূতন নূতন দেহকোষের সৃষ্টিকর্তা রবি এবং শরীরের নাশ ও সমস্ত দেহকোষের ধ্বংসের কর্তা শনি | মঙ্গলকে যে বিস্ফোটক , জ্বর প্রভৃতি রোগের কারক বলা হয় , তার কারণ বিস্ফোটক ,জ্বর প্রভৃতি আর কিছুই নয় ,নিজের ভেতর থেকে বিষাক্ত পদার্থের বহিষ্কারের জন্য শরীর যে চেষ্টা করছে তারই বাহ্যিক অভিব্যক্তি এবং মঙ্গল বিষাক্ত পদার্থের বহিষ্কারের কর্তা | বুধকে যে বিষপ্রবেশ প্রভৃতির কারক বলা হয় ,তার মানে বুধের স্বাভাবিক ধর্ম অনিষ্টকারী পদার্থকে নিজস্ব করে নেওয়া | এই জন্যই বুধ ,মঙ্গল যেখানে একত্র যুক্ত হয়ে রোগের সূচনা করে ,সেখানে রক্তদোষ ,হাম বসন্ত ,ক্যান্সার , AIDS , কুষ্ট , কিডনির রোগ প্রভৃতি রোগ দেখতে পাওয়া যায় |
উপরের গ্রহগুলির যে ভাব নির্ণয় করা হয়েছে ,তার মধ্যে চন্দ্রের উল্লেখ নেই – কিন্তু চন্দ্রকে ফলিত জ্যোতিষে বিশেষ প্রভাবশালী গ্রহ বলে ধরা হয় | পৃথিবী আমাদের ক্ষেত্র , যার উপর সৃষ্টি ও ধ্বংসের লীলা চলেছে , এই পৃথিবীর অবস্থানকে রাশি–কুণ্ডলীতে লগ্ন নাম দেওয়া হয় | চন্দ্র এই পৃথিবীর উপগ্রহ এবং পৃথিবীর দ্বারা বদ্ধ ,সেই জন্য চন্দ্র ও আমাদের ক্ষেত্র | লগ্ন এবং চন্দ্র এই দুয়ের উপর অন্য গ্রহের প্রভাব থেকে কোষ্ঠীর ফল নির্ণয় করতে হয় | তাই ,লগ্ন থেকে যেভাবে সমস্ত ফলাফল বিচার করা হয় ,চন্দ্র থেকেও ঠিক সেইভাবে সমস্ত ফলাফল কল্পনা করা হয় | জ্যোতিষশাস্ত্রে পৃথিবীকে (অর্থাৎ লগ্নকে ) দেহ এবং প্রাণ এবং চন্দ্রকে ইন্দ্রিয়জ অনুভূতিমূলক যে মন (the osophist গণ যাকে Lower Manas অথবা Animal Soul বলেন ) তারই নির্দেশক বলাহয় | এই লগ্ন এবং চন্দ্র –অর্থাৎ জীবদেহ এবং অনুভূতি – পরস্পর অবিচ্ছেদ্য ভাবে বদ্ধ এবং এই দুটির একটিতে স্পন্দন হলেই অপরটিতে সাড়া পড়ে যায় | দেহের ব্যথা মনকে বিকল করে ,মনের দুঃখ দেহকে ক্লিষ্ট করে তোলে | এই দেহ এবং মনের অবিচ্ছেদ্য সম্বন্ধ কোষ্ঠিতে লগ্ন ও চন্দ্রের সমন্ধরূপে প্রকাশিত হয় এবং এই লগ্ন ও চন্দ্রের সম্বন্ধের মধ্যেই প্রত্যেক কোষ্ঠীর চাবিকাঠি আছে | পূর্বেই বলা হয়েছে রবি আদি সৃষ্টির জ্ঞাপক , সেইজন্য রবিকে আত্মা বলা হয় ,এবং আত্মা ,জীবমন ও জীবদেহ এই তিনের সমষ্টি স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব রূপে ফুটে ওঠে | রবি–চন্দ্র–লগ্ন এই ত্রিমূর্তি; গ্রহের ভাব বিচারে এদের স্বাতন্ত্র্য নেই | গ্রহের ভাবেই মধ্যে এদের সূর্য্যের অন্তর্ভুক্ত বলে ধরা যেতে পারে | অতএব গ্রহগুলিকে সৃষ্টি–ধ্বংস বা সুখ–দুঃখ হিসাবে এই ভাবে ভাগ করা যায় –
সম শুভ পাপ
সৃষ্টিজ্ঞাপক –রবি ,চন্দ্র ,পৃথিবী বৃহস্পতি মঙ্গল
ধ্বংসজ্ঞাপক –বুধ শুক্র শনি
সৃষ্টিজ্ঞাপক শ্রেণীর কাজ গড়ে তোলা , জোড়া দেওয়া ,বাড়ানো ;এবং ধ্বংসজ্ঞাপক শ্রেণীর কাজ ভেঙে ফেলা ,আলাদা করা ,কমানো | প্রথম শ্রেণীর গ্রহগুলি আশ্লেষণ বা synthesis এর জ্ঞাপক এবং দ্বিতীয়শ্রেণীর গ্রহগুলি বিশ্লেষণ বা Analysis এর জ্ঞাপক |
এই সৃষ্টি ও ধ্বংসের কাজ আমাদের মধ্যে দু রকমে হতে পারে –প্রত্যক্ষভাবে এবং পরোক্ষভাবে | যেমন রবির প্রত্যক্ষ কাজ নুতন সৃষ্টি দ্বারা বৃদ্ধি ,আবার পরোক্ষ কাজ ধ্বংসে বাধা দেওয়া | কথাটা একটু স্পষ্ট করা দরকার – রবি প্রত্যক্ষভাবে যা সৃষ্টি করছে তা যদি তৎক্ষণাৎ ধ্বংস হয় ,তাহলে সৃষ্টি রক্ষা করা হয় না , সুতরাং সৃষ্টি –রক্ষা করতে হলে ধ্বংসে বাধা দেওয়া দরকার – এইটিই হচ্ছে রবির পরোক্ষ কাজ | রবির নিজের শুধু প্রত্যক্ষ ভাব আছে; তার পরোক্ষ ভাব নির্দেশ করে চন্দ্র | এইজন্য রবি দেহ সৃষ্টির কারক ,কিন্তু দেহ পুষ্টির কারক চন্দ্র | বৃহস্পতির প্রত্যক্ষ কাজ হীতকারী পদার্থকে নিজের সামিল করা , তেমনি পরোক্ষ কাজ অনিষ্টকারী পদার্থকে শরীরের সামিল হতে বাধা দেওয়া | মঙ্গলের প্রত্যক্ষ কাজ হীতকারী নয় এমন পদার্থকে দেহ থেকে বের করে দেওয়া ,আবার পরোক্ষ কাজ হীতকারী পদার্থকে দেহ থেকে বের হতে বাধা দেওয়া |
ধ্বংসজ্ঞাপক শ্রেণীর মধ্যে শনির প্রত্যক্ষ কাজ শরীরের ধ্বংস করা ,পরোক্ষ কাজ শরীর বৃদ্ধির পক্ষে বাধা দেওয়া | বুধের প্রত্যক্ষ কাজ অনিষ্টকারী পদার্থকে দেহের মধ্যে টেনে নেওয়া , পরোক্ষ কাজ হীতকারী পদার্থকে দেহের মধ্যে আস্তে বাধা দেওয়া | শুক্রের প্রত্যক্ষ কাজ হীতকারী পদার্থকে দেহ থেকে বের করে দেওয়া ,পরোক্ষ কাজ হীতকারী নয় এমন পদার্থকে দেহ থেকে বের হতে বাধা দেওয়া |
দেহের সম্পর্কে গ্রহগুলির এই ভাব বুঝতে পারলে , তুলনার দ্বারা এদের বাইরের ভাব বুঝতে কষ্ট হবে না |রবি সৃষ্টির কারক এবং চন্দ্র পুষ্টির কারক | আমার সৃষ্টি পিতার দ্বারা – বীজ পিতার ,কিন্তু পুষ্টি মাতার দেহের মধ্যে ,এই জন্য রবি পিতার কারক এবং চন্দ্র মাতার কারক | শনির প্রত্যক্ষ কাজ ধ্বংস ,সেইজন্য শনি মৃত্যুর কারক ,শনির পরোক্ষ কাজ শরীর বৃদ্ধির পক্ষে বাধা দেওয়া সেই জন্য শারীরিক ক্লেশ ,অনশন (Privations ) প্রভৃতির কারক শনি | এইভাবে বিচার করলে অনেক কারকতার অর্থ স্পষ্ট হয়ে যাবে |