জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, ক্যাটস আই হলো কেতুর রত্ন। সংস্কৃতে এটিকে বৈদূর্যমণি বলা হয়। এই ক্যাটস আই রত্নের বেশ কিছু গুণ রয়েছে। যা জন্ম ছকে কেতুর অশুভ দোষ মোকাবিলা করতে সাহায্যে করে থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক ক্যাটস আই রত্নের উপকারিতা, ক্যাটস আই পাথর পরার নিয়ম ও রোগ প্রতিকারে ক্যাটস আই রত্নের ভূমিকা।
ক্যাটস আই রত্নের উপকারিতা
আরামদায়কতা এবং রিল্যাক্সেশন:
ক্যাটস আই ধারণ করলে মানুষের মন শান্ত এবং আরামদায়ক হয়ে থাকে। ক্যাটস আই ধারণায় বিভিন্ন রং, আলো, এবং ধ্বনির মিশ্রণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে যা মানসিক স্থিতির একটি পরিবর্তন সৃষ্টি করে। এই মিশ্রণের ফলে মানুষের মন স্থির হয়ে থাকে এবং তার সামগ্রিক সুস্থতা বাড়ায়।
বোধগম্যতা ও স্মৃতি বৃদ্ধিতে:
ক্যাটস আই ধারণার মাধ্যমে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও ব্যাপক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি সামঞ্জস্য সৃষ্টি হয়। ফলে মানুষের বোধগম্যতা ও স্মৃতি বৃদ্ধিতে সাহায্যে করে।
কেতুর দশা প্রতিকারে:
কেতুর অশুভ প্রভাব ব্যক্তির জীবনকে কষ্টকারী করে তোলে। ব্যক্তির ওপর কেতুর দুষ্প্রভাব থাকলে ক্যাটস আই পাথর শোধন করে ধারণ করা উচিত।
নেতিবাচক শক্তি থেকে বাঁচাতে:
অশুভ আত্মা, খারাপ স্বপ্ন বা অন্য কোনও ভয়ে গ্রস্ত থাকলে ক্যাটস আই পাথর পরা উচিত।
ফাটকা ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধিতে:
যাঁরা ভাগ্যের জোরে অর্থ লগ্নি করেন, শেয়ার বাজারে টাকা লাগান, তাঁরা ক্যাটস আই ধারণ করলে লাভ পেতে পারেন।
ক্যাটস আই পাথর পরার নিয়ম
মেষ, মীন বা ধনু রাশিতে চন্দ্র থাকলে অথবা অশ্বিনী, মঘা, মূলা নক্ষত্র যুক্ত বুধবার, শুক্রবার, এর দিন যে কোনো দিন সন্ধ্যায় পাঁচটা থেকে আটটার মধ্যে লোহা বা পঞ্চ ধাতুর সাত রতির আংটি তৈরি করবে। তার ওপর কমপক্ষে চার রতির এই রত্ন জড়াবে। এই রত্নটি একমাত্র পঞ্চধাতু বা লোহার সঙ্গেই বেশি ফল দেয়। সাত রতির কম আংটি, চার রতির চেয়ে কম রত্ন প্রভাবশালী হয় না।
দ্বিতীয় দিন প্রাতে নটার সময় কেতু মন্ডল তৈরি করে অর্থাৎ ধ্বজাকার কেতু স্থণ্ডিল তৈরি করবে। সাত তোলা রুপার পাতের ওপর কেতু যন্ত্র খোদাই করবে। তার ওপর রত্ন জড়িত আংটি রেখে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে ষোড়শোপচারে কেতুর পূজা করবে। পূজা শেষে নিম্ন মন্ত্রে হোম করবে। যথা –
মন্ত্র – “ওঁ হ্রিং ক্রিং কুং ক্রুরূপিনী কেতবে স্বাহা।”
আহুতি সংখ্যা – ২৭০০ বার।
বেদোক্ত মন্ত্র – “ওঁ কেতু কৃন্নস্বকেতবে পেশমর্যা অপেশ্সে। সমুস্দ্ভি রজায়থা।।”
অতঃপর আংটি ধারণ করে পূর্ণাহুতি দেবে।
রোগের ওপর ক্যাটস আই রত্নের প্রভাব
১| দুধের সঙ্গে এই রত্ন ভস্ম সেবন করালে উপদংশ, প্রমেহ আরোগ্য হয়।
২| ঘিয়ের সঙ্গে এই রত্ন ভস্ম খেলে নপুংসকতা রোগ দূর হয়। বীর্য গাঢ় হয়।
৩| মধুর সঙ্গে এই রত্ন ভস্ম খেলে রক্তবাহ্য আরোগ্য হয়।
৪| অশ্বথ কাঠের ছাইয়ের সঙ্গে এই রত্ন ভস্ম সেবনে নেত্র রোগ আরোগ্য হয়।
৫| এই রত্ন ধারণে অজীর্ণ, আমবাত, মধুমেহ (ডায়াবেটিস), প্রভৃতি রোগ আরোগ্য হয়।
ক্যাটস আই ধারণ করবেন কারা? বা সহজে ক্যাটস আই পাথর চেনার উপায় জানতে হলে জ্যোতিষী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।