গোমেদ পাথরের উপকারিতা কি? জেনে নিন কিভাবে ধারণ করবেন।
গোমেদ পাথরের উপকারিতা পেতে খুঁটিনাটি বিষয় জেনে নিন
দুর্ভাগ্য কাটাতে আমরা বিভিন্ন রত্ন ধারণ করে থাকি। তারই মধ্যে অন্যতম হল গোমেদ। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে রাহু গ্রহের খারাপ প্রভাব এড়াতে গোমেদ পাথরের ব্যবহার করা হয়। তবে গোমেদ ধারণ করার আগে অবশ্যই কোনও জ্যোতিষবিদের পরামর্শ নিন। কারণ গোমেদ পাথরের উপকারিতা বিভিন্ন। কোন ক্ষেত্রে গোমেদ পাথরের কি কাজ? কোন আঙুলে পড়লে সর্বাধিক উপকার পাবেন? তাই গোমেদ পরিধানের আগে এই রত্নের গুনাগুন সম্পর্কে জানা প্রয়োজন (Gomed Gemstone Benefits) । নিম্নলিখিত নিবন্ধ থেকে জেনে নেওয়া যাক গোমেদ পরার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে।
গোমেদ পাথর পরার নিয়ম –
স্বাতী, শতভিষা অথবা আর্দ্রা নক্ষত্রের দিন প্রাতে পঞ্চ ধাতু বা লোহার সাত রতির আংটিতে কম পক্ষে চার রতির বা তার চেয়ে বেশি গোমেদ বসাবে। প্রাতে সাড়ে দশটার পর রাহু যজ্ঞ করবে। সুপ্পাকার রাহু স্থন্ডিল তৈরী করবে। তার ওপর এগারো তোলার রুপার পাতে রাহু উৎকর্ণ করিয়ে স্থন্ডিল-এর ওপর রাখবে। তার ওপর গোমেদ রাখবে। তৎপশ্চাৎ তার ওপর আংটি রেখে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবে। হোমের সময় নিন্মে মন্ত্রে আহুতি দেবেন।
আহুতি মন্ত্র – “ওঁ ক্রোং ক্রীং হুং হুং টং মংক ধারিণে রাহবে রং হ্রীং শ্রীং মৈং স্বাহা।”
আহুতি সংখ্যা – ১০০০ ( এক হাজার )।
বেদোক্ত রাহুর মন্ত্র – ১৮০০০ ( আঠারো হাজার ) জপ করাবে।
মন্ত্র – ”ওঁ কয়ানাশিচএ আভুবদুতি যদাবৃধঃ সখা।
কয়া শচীষ্ঠয়াবৃতাঃ।।”
গোমেদ পাথরের উপকারিতা
- গোমেদ পাথর ব্যবহারে মানুষের দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা এবং মানুষিক সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।
- গোমেদ পাথর ধারনে ভালোবাসা, মিল এবং শান্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
- গোমেদ পাথর পরার নিয়ম অনুযায়ী ধারণে শত্রু থেকে এড়িয়ে থাকা যায় এবং প্রতিযোগিতায় সফল পাওয়া যেতে পারে।
- কোন নেগেটিভ চিন্তা এবং খারাপ শক্তি থেকে থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করে এই রত্ন।
- রাজনীতিতে যাঁরা সফলতা অর্জন করতে চান তাঁদের জন্য গোমেদ রত্ন বিশেষ উপকারী।
- গোমেদ পাথর ব্যবহারে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়, যে সকল শিক্ষার্থী বা চাকুরীজীবীরা গবেষণা মূলক কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের জন্য গোমেদ পাথর ব্যবহার উপকারী হতে পারে।
- পেশায় উন্নতি এবং সামাজিক ও আর্থিক দিকে উপকার পেতে গোমেদ বিশেষ সহায়ক।
রোগের ওপর গোমেদের প্রভাব
১। গোমেদ ভস্ম নিয়ত সেবন করলে – বল, বুদ্ধি এবং বীর্য বৃদ্ধি পায়।
২। মৃগী, মাথাঘোরা, বায়ু বিকার, অর্শ প্রভৃতি রোগে গোমেদ ভস্ম দুধের সঙ্গে সেবনে উপকার হয় ।
৩। গোমেদ ধারণ করলে – চুলকানি, খোস, উপদংশ, জ্বর, প্লীহা প্রভৃতি রোগ আরোগ্য হয় ।