আমরা অনেকেই হিরে পাথর ধারণ করে থাকি। কিন্তু এই হীরা পাথরের উপকারিতা কি? কোন আঙুলে হিরে পাথর ধারণ বেশি কার্যকরী? মানুষের জীবনে কোন ধরণের সমস্যা সমাধান করে এই হীরা? রোগ প্রতিকারে এই হীরা পাথরের ভূমিকা কি? সব বিস্তারিত জানতে এই নিবন্ধটি পড়ুন –
হিরে শুক্রের রত্ন। হিরে পরলে যশ ও প্রতিষ্ঠা লাভ করা যায়। শুধু তাই নয় নানা রোগ যেমন মধুমেহ ও চোখের রোগ সারিয়ে তুলতে হিরে সাহায্য করে। এই গ্রহরত্নটি পরলে ব্যক্তির সৌভাগ্য বৃদ্ধি হয়।
জানুন – হীরা কারা পড়বেন?
হীরা পাথরের উপকারিতা:
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে হীরা পাথরের ব্যবহারের উপকারিতা নিম্ন রূপ –
১. সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষমতা এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এর পাথর।
২. যে সকল জাতক-জাতিকা সংগীত, চিত্রশিল্প, অভিনয়, জনসংযোগ, অথবা লেখালেখির সাথে জড়িত তাদের জন্য হীরা খুব উপকারী।
৩.আইনগত বিষয়ে বিশেষ সাহায্য পাওয়া যেতে পারে হীরা সঠিক ব্যবহারে।
৪. সামাজিক কাজে অংশ গ্রহন করার ইচ্ছা ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হীরা পাথর ধারণ কর্তব্য।
৫. ডায়াবেটিক, অনিদ্রা জন্য হীরা পাথরের উপকারিতা পেতে পারেন।
৬.ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখা থেকে রক্ষা করে হীরা পাথর সাহায্য করে।
৭. যে সকল মহিলাদের সাংসারিক জীবনের সমস্যা রয়েছে তারা এ পাথর ব্যবহার করতে পারেন।
৮. হীরা পাথর ভালোবাসার জন্ম দেয়। বৈবাহিক জীবনেও এর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।
৯. হীরা পাথর ভয় ভিতি দূর করে আত্ম বিশ্বাস বৃদ্ধি করে এবং শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
রোগের ওপর হীরার প্রভাব
১। মন্দাগ্নিতে হীরা ভাল মধুসহ সেবনে ক্ষুধা বৃদ্ধি হয়।
২। বীর্য তরল হলে বা তাড়াতাড়ি বীর্যপাত হলে, সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হলে, হীরা ভস্ম দুধের সঙ্গে সেবনে শীঘ্র উপকার হয়।
৩।দুর্বলতা, অশক্ত শরীর, অতিসার, অজীর্ণ, বায়ুপ্রকোপ প্রভৃতি রোগে হীরা ধারণে, আশাতীত ফল দান করে।
প্রয়োগ-
বৃষ, তুলা এবং মিন রাশিস্থে শুক্র হলে অথবা শুক্রবার ভরনী, পূর্বফাল্গুনী বা পূর্বাষাঢ়া হলে শুভ মুহূর্তে হীরা ধারণ কর্তব্য।
শুক্রবার দিনে সূর্যোদয় থেকে সাড়ে এগারোটার মধ্যে সোনার আংটিতে হীরা বসিয়ে নিতে হবে। তারপরে যন্ত্র স্থন্ডিল তৈরি করবে সোনার আংটিতে হীরা বসিয়ে সাত তোলা ওজনের রুপোর পাতে শুত্রু যন্ত্র অঙ্কিত করে তার ওপর আংটি রেখে নিম্ন মন্ত্রে অভিষেক করবে। যথা –
“ওঁ অন্নান্তরী শ্রুতোরসং ব্রহ্মনাব্যপী তৎক্ষার্থং জয়ঃ
সোমং প্রজাপতি পতেন সত্যামিন্দ্রিয়ং বিপনামূর্ধং শুত্রু
সংধন্দ্রংসেন্দ্রিয়মিন্দং পয়মৃতং মধু।।”
এর পরে আংটিতে শুক্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে আংটি পরবে, শুক্র যন্ত্র পূজাদি করে আংটি ধারণ করবে।
পরিশেষে, হীরা পাথর পরার নিয়ম অনুযায়ী ধারণ করলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। তবে Diamond ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন Expert Astrologer – এর সঙ্গে পরামর্শ করুন।