মেষ রাশিতে নবগ্রহ এর প্রকৃতি ও কার্যকারিতা
জ্যোতিষশাস্ত্রে নবগ্রহের কথা উল্লেখ আছে। নবগ্রহ গুলি হলো রবি (Sun); চন্দ্র (Moon); মঙ্গল (Mars); বুধ (Mercury); বৃহস্পতি (Jupiter); শুক্র (Venus); শনি (Saturn); রাহু (Rahu) এবং কেতু (Ketu)। প্রত্যেক গ্রহের কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে। কিন্তু এই বৈশিষ্ট্য বা গুন্ কোন সময় প্রকাশ পাবে তা নির্ভর করে রাশির অবস্থানের উপর। এখন মেষ রাশিতে নবগ্রহ এর কারকতা নিম্নরূপ:
রবি
- মেষ রাশিতে নবগ্রহ এর অন্যতম রবি। এরা অল্প জিনিস ভালোবাসেন না। তেজ বা রূপের মাধ্যমে ভোগ করেন।
- আত্মীয় পরিজন অনেক, তাই সকলকে দেখার জন্য অনেক জায়গাতে থাকতে হয়।
- বিভিন্ন ধরণের কাজ করেন, অনেক বিষয়ে চর্চা রাখেন। শক্ত জিনিস চিবিয়ে খেতে ভালোবাসেন। দরকারি সামগ্রী আগে থেকে জোগাড় করে রাখেন।
চন্দ্র
- তেজ ব্যাঞ্জক গড়ন, নাক, চোখ বেশ বড় বড়।
- হাড় চওড়া, বাড়ির জানালা দরজা বড় বড়, দোতলা তিনতলা বাড়ি, পাশের বাড়ি তেমন উঁচু না হওয়ার বাড়ির জানালায় বসে বহু দূর পর্যন্ত দেখা যায় ।
মঙ্গল
- মঙ্গল হলো মেষ রাশিতে নবগ্রহ এর গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রহ। গভীরে দেখেন না, নিয়ম অনুযায়ী রুটিন মেনে দেখা।
- অন্যকে সহজে বড় বলে মানতে চান না। দাবিয়ে রাখার মানসিকতা, বড় বড় কথা বলে, উদাহরণ দেন। সতর্ক চলাফেরা।
- বাজে খরচ অনেক হয়ে যায়। সংকীর্ণতা দেখলে চটে যান।
বুধ
- বহু বিষয়ের সমালোচনা একসঙ্গে করা সম্ভব নয় বুঝে কোনও কিছুই বুঝতে বা শুনতে চান না।
- ধৈর্যের অভাব এবং চঞ্চল বলে রোজ একটু করে, একটা করে কাজ সেরে রাখলে সব কাজই সময়ে হয়ে যায় বুঝতে পারেন না, একই সঙ্গে সব দিক রাখতে গিয়ে সব কাজেই গোলমাল হয়ে যায়।
- অনেক পড়াশোনা মনে থাকে না স্মৃতির অভাব বলে।
আরো পড়ুন : মেষ রাশিফল 2023
বৃহস্পতি
- নিজ গুনে অপরকে মুগ্ধ করেন। নানা রকম সহজ পন্থা বার করে, ছড়া বানিয়ে, শব্দ সাজিয়ে, শক্ত জিনিস সহজ করে বোঝাতে পারেন, বর্ণের অর্থ এবং গুনাগুন সম্বন্ধে জ্ঞান রাখেন।
- মহতের সান্নিধ্যে থাকতে ভালোবাসেন। রাজা এবং ধর্মের গৌরব বৃদ্ধি করেন।
শুক্র
- বহু ভোগ্যা বসুন্ধরা। কিন্তু সব জিনিস একসঙ্গে ভোগ করা যায় না। তাই কোনোটাই পুরোপুরি ভোগ করা হয়ে ওঠে না, অতৃপ্তির জ্বালা।
- একটা নিয়েই থাকতে হয় এবং সেটিকে আগলে রাখতে হয়। সুখের আশা ছাড়া যায় না তাই দুঃখ পেতেই হয়। শরীর-মন -ঝলসে পোড়া হয়ে যায়।
শনি
- অনেক কাজের মধ্যে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন।
- আকাখাঙ্খা কিছুটা মিটলেও জ্বালা বাড়ে। বাসনাই তো আগুন এবং অতৃপ্ত বাসনাই তাপ বড়ো জ্বালাদায়ক হয়ে ওঠে।
- প্রানভরে ভোগ করা যায় না। ফুরিয়ে যাবার, হারিয়ে যাবার থেকেই যায়।
রাহু
- বড়োর কাজে নিজের সীমাবদ্ধতার কথা না বুঝে সব বিষয়ে মাথা গলাতে গিয়ে বিপদে পড়ে যান এবং অপ্রিয় হয়ে যান।
- বড়ো যে হয় তার মধ্যে বড়ো হবার বীজ থাকে বলেই সে বড়ো হয় একথা বুঝতে চান না। কথার ফুলঝুরি ওড়ান, কাজ হয় না – একলা হয়ে যান, মুখের বাঁধন খুব ।
কেতু
- অপরের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন। নিজেকে জাহির করতে চান না।
- বড়ো হওয়ার জন্য ছোট হওয়ার কষ্ট স্বীকার করেন। অহংকার কমাবার চেষ্টা করেন।
বি.দ্র.: বৈশাখ মাসে বা তারিখে যাদের জন্ম, তাদের পিতৃ গৃহে জন্ম হওয়াই ভালো। মামার বাড়ি হলে শুভ হয় না, কারণ রবি এবং মঙ্গলের জোর কমে যায়। পিতা, রাজা, জমিদার, প্রভু, অভিভাবকের কথা শুধু শুনে চলতে পারলে ভাগ্য বৃদ্ধির সহায়ক হয়।