জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী পান্না পাথর বিশেষ উপযোগিতা রয়েছে। এই পাথর সঠিকভাবে ধারণ করলে তা মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে। কিন্তু সবাই পান্না ধারণ করতে পারে না। এই পান্না কারা পড়বেন তা একজন জ্যোতিষবিদই বলতে পারবেন। জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ম অনুযায়ী এই রত্ন ধারণ করলে পান্না পাথরের উপকারিতা সর্বাধিক পাওয়া যায়। তবে অনেক জ্যোতিষরা পান্নার বিকল্প পাথর ধারণের পরামর্শ দিয়া থাকেন। জেনে নেওয়া যাক পান্না পাথরের প্রয়োগ –
পান্না ধারণ করার নিয়ম –
- বুধবার অশ্লেষা, রেবতী নক্ষত্র যোগে সূর্যোদয়ের ১০-৩০ মিনিটের মধ্যে সোনার আংটিতে পান্না বসিয়ে নিতে হবে।
- ছয় রতি সোনা হওয়া চাই, এর কম হলে প্রভাবশালী হয় না। এবার ছয় রতি সোনার আংটিতে তিন রতি পান্না দিয়ে আংটি তৈরি করতে হবে। তিন রতির কম পান্না কাজ দেয় না। এর বেশি হলে আরো ভালো ফল দেয়।
- এবার দিবা ১১ টার পর বুধ যজ্ঞ করতে হবে। বুধ চক্র তৈরি করতে হবে। তার উপর কলস রাখবে এবং ঐ কলসে ষোড়শোপচারে পূজা করবে। তার উপর পান্নার আংটি রাখবে।
- তারপর নিম্নে মন্ত্রে অভিষেক করবে।
মন্ত্র: “ওঁ হ্রাং হ্রীং বু গ্রহনাথ বুধায় নমঃ।”
পান্না পাথর কোন আঙুলে পরে:
বুধের রত্ন পান্না। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী পান্না কনিষ্ঠা আঙুলে পরা উচিত।
রোগের উপর পান্নার প্রভাব
১| পান্নাকে ২১ দিন পর্যন্ত কেওড়া জলে ভিজিয়ে রেখে, তারপর ঘসে দুধের সরের সঙ্গে খেলে-বল, বুদ্ধি, প্রবল হয়।
২| মূত্র পাথুরী, বহুমূত্র (ডায়াবিটিস) প্রভৃতি রোগে পান্না ভস্ম শ্রেষ্ঠ ঔষধ।
৩| আধকপালী, অর্শ, জ্বর, ভগন্দর, রক্ত সম্বন্ধিত রোগে পান্না ভস্ম মধুসহ চেটে খেলে শীঘ্র রোগ আরোগ্য হয়।
পান্না পাথরের উপকারিতা-
- পান্না বুধের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত রত্ন। বুধ স্মরণ শক্তির কারক গ্রহ। তাই যাদের স্মরণ শক্তি দুর্বল তারা এই রত্ন ধারণ করলে সুফল পেতে পারেন।
- স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে এই রত্ন ধারণ করা উচিত। এই রত্ন ধারণ করলে পরিবারে অন্ন ও ধন বৃদ্ধি হয়।
- যে বাচ্চারা পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে পারে না বা যাদের স্মরণ শক্তি কম, তাদের রুপোর লকেট-এ পান্না জড়িয়ে গলায় পরিয়ে দিন।
- ব্যাবসায়ীদের জন্য পান্না লাভদায়ক।
- গর্ভবর্তী মহিলারা পান্না ধারণ করলে প্রসবকালীন যন্ত্রনা কমে।
- কোনো রাশি, বিশেষত মিথুন ও কন্যা রাশির জাতকরা যদি উপহার পান্না পেয়ে থাকেন তা হলে এটি সৌভাগ্যের প্রতীক।
## পান্না পাথর পরার নিয়ম অনুযায়ী ধারণ করলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। তবে Emerald ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন জ্যোতিষীর – এর সঙ্গে পরামর্শ করুন।