Astrology, Rashi

বিংশোত্তরী দশা বিচারের সাধারণ নিয়ম (৪৬ রকম)

বিংশোত্তরী দশা বিচারের সাধারণ নিয়ম (৪৬ রকম)

বিংশোত্তরী দশা

জ্যোতিষ উৎসাহী মানুষের সংখ্যা দিন দিন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে |

বহু মানুষ এর চর্চাও করছেন নিজের পরিসরে | আবার কেউ কেউ একে জীবিকা হিসাবেও বেছে নিয়েছেন | যেমন আমি, এই পেশাকে জীবিকা হিসাবেই বেছে নিয়ে আজকে প্রতিষ্ঠিত |

বহু মানুষ আমাকে অনুরোধ করেন এই বিষয়টি শিখাবার জন্যে | কিন্তু আমি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করি | কারণ আমি মোটেই ভালো শিক্ষক নই |
তবে আমি অবশ্যই ভালো ছাত্র |

তাই ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জ্ঞাতার্থে সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্যে আমার এই ছোট্ট প্রয়াস | আমি আমার সাধ্য মতন চেষ্টা করেছি যাতে পাঠক পাঠিকাগন অতি সহজে জটিল বিষয়টিকে হৃদয়ঙ্গম করতে পারে |

আশাকরি বিংশোত্তরী দশা বিষয়ক লেখাটি আপনারা পাঠ করে বাস্তব জীবনে যথেষ্ট উপকৃত হবেন |

 

বিংশোত্তরী দশা 1

বিংশোত্তরী দশা বিচারের সাধারণ নিয়ম

(১) বিংশোত্তরী দশা বিচারকালে প্রথমে দেখতে হবে দশাপতি গ্রহের (অর্থাৎ যে গ্রহের দশা চলছে) বলাবল কি |

তা ছাড়া দশাপতি উক্ত সময়ে গোচরে (জন্মরাশিকে প্রথম স্থান ধরে বিচার করে) কোথায় রয়েছেন এবং অন্তর দশাপতি কোথায় এবং তার বলাবল কিরূপ তা জানা আবশ্যক|

অস্বাভাবিক সাফল্য এবং বিরাট খ্যাতি কেবলমাত্র জন্মকালীন বিশেষ যোগাযোগের ফলে সম্ভব, কিন্তু সাধারণ মানুষ জন্মকালীন গ্রহসন্নিবেশ অনুযায়ী তার প্রাপ্তটুকু অব্যশই পাবেন |

২) প্রথমেই দেখে দরকার,যে গ্রহের মহাদশা চলছে সেই গ্রহ কোনো শুভভাবের অধিপতি কিনা এবং অন্তর্দশাপতি কোন শুভ ভাবের অধিপতি কি না |

৩) যদি দশাপতি এবং অন্তর্দশাপতি উভয়েই শুভ ভাবের অধিপতি হয় তাহলে এরূপ দশান্তর্দশায় স্বাভাবিকভাবেই শুভফল আশা করা যেতে পারে |

৪) জন্মকুণ্ডলীতে দশাপতি এবং অন্তর্দশাপতির অবস্থান দেখতে হবে| দশাপতি ও অন্তর্দশাপতির মধ্যে ক্ষেত্র বিনিময়,দৃষ্টি বিনিময়,কিংবা একত্র সহাবস্থানজনিত কোনো বিশিষ্ট যোগ বা রাজযোগকারক সম্মন্ধ স্থাপিত হয়েছে কিনা-তা অবশ্যই দেখতে হবে |

৫) একটি গ্রহ জন্মকুণ্ডলীতে শুভস্থানে, অপরটি অশুভ স্থানে থাকলে -এরূপ দুটি গ্রহের দশান্তর্দশায় শুভাশুভ মিশ্র ফল লাভ হবে |

৬) যদি দশাপতি শুভ ফলদায়ক হয় এবং অন্তর্দশাপতি অশুভ ফলদায়ক হয় -তবে অন্তর্দশাকালে অশুভ ফল লাভ হবে |

৭) পূর্বেই গ্রহগণের দীপ্ত, স্বস্থ, মুদিত প্রভৃতি অবস্থা সম্পর্কে এই পুস্তকে আলোচনা করা হয়েছে -দশা পতি ও অন্তর্দশাপতি গ্রহের এরূপ অবস্থান অনুযায়ী শুভফলের তারতম্য অথবা অশুভ অথবা শুভাশুভ মিশ্র ফল লাভ হবে |

একটি গ্রহ দীপ্ত বা স্বস্থ, অপরটি যদি দীপ্ত বা স্বস্থ হয় তবে এরূপ দুটি গ্রহের দশান্তর্দশায় শুভফলের আধিক্য ঘটবেই | কিন্তু যে ক্ষেত্রে একটি গ্রহ দীপ্ত বা সুস্থ এবং অপর গ্রহটি হীন,বিকল,দুঃখিত খল বা কোপিত হলে -এরূপ দুটি গ্রহের দশান্তর্দশায় শুভাশুভ মিশ্র ফল লাভ হবে |কিন্তু দশা ও অন্তর্দশাপতি উভয় যদি হীন,বিকল,দুঃখিত,খল বা কুপিত হয় -তবে এরূপ দুটি গ্রহের দশান্তর্দশায় অশুভ ফলের বৃদ্ধি ঘটবেই বা অশুভ ফললাভ হবে |

৮) যদি দশাপতি অশুভ কিন্তু অন্তর্দশাপতি শুভ হয় -তবে অন্তর্দশাকালে অন্তর্দশাপতি অনুযায়ী শুভফল লাভ হবে |

৯) কোন পতি (৫ম পতি বা ৯ম পতি) গ্রহের মহাদশায় কেন্দ্রপতি (১|৪|১০) গ্রহের অন্তর্দশা এবং কেন্দ্রপতি গ্রহের মহাদশায় কোন পতি গ্রহের অন্তর্দশায় জন্মকুণ্ডলীতে ক্ষেত্র বিনিময়, বিনিময়,সহাবস্থান প্রভৃতি সম্মন্ধ ছাড়া শুভ হয় না |

কিন্তু ঐ রূপ কেন্দ্রপতি ও কোন পতি পরস্পরের তৃতিয়ে,একাদশ অথবা চতুর্থে অথবা দশমে অবস্থান করলেই অন্তর্দশাকালে শুভফল প্রদানে সক্ষম হয়ে থাকে |

১০) লগ্নের চতুর্থ স্থানে অবস্থিত দশমপতির দশান্তর্দশা এবং দশম স্থানে অবস্থিত চতুর্থপতির দশান্তর্দশা জাতক জাতিকার পক্ষে শুভপ্রদ হবে |

১১) পঞ্চমপতি ও নবমপতির দশান্তর্দশায় আর্থিক সমৃদ্ধি, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে সন্মান,ক্ষমতা বা উচ্চপদ লাভ ও পুত্রলাভ হবে |

১২) লগ্নের চতুর্থস্থানে অবস্থিত পঞ্চমপতির দশান্তর্দশা শুভপ্রদ ও সম্পদ বৃদ্ধিকারক হয়ে থাকে |

১৩) লগ্নের নবমস্থানে বা দশমস্থানে অবস্থিত পঞ্চমপতির দশান্তর্দশাও শুভপ্রদ ও সম্পদ বৃদ্ধি কারক হবে |

১৪) লগ্নের দশম স্থানে অবস্থিত পঞ্চমপতির দশান্তর্দশাতেও আর্থিক সমৃদ্ধি,কর্মোন্নতি, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে সন্মান,ক্ষমতা বা উচ্চপদ লাভের কারক হয়ে থাকে |

১৫) জন্মকুণ্ডলীতে দশমপতি ও চতুর্থপতি যদি কোন এক রাশিতে সহাবস্থান করে -তবে এরূপ চতুর্থপতির দশান্তর্দশায় আর্থিক সমৃদ্ধি,রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে সন্মান, ক্ষমতা বা উচ্চপদ লাভের কারক এবং সন্তানলাভ হয়ে থাকে |

১৬) জন্মসময়ে যে কোন গ্রহই পঞ্চম বা নবমপতির সঙ্গে যুক্ত থাকুন না কেন-ওই গ্রহের দশান্তর্দশা শুভকারক হবে |কারণ পঞ্চমপতি ও নবমপতি গ্রহ জাতক জাতিকার পক্ষে অত্যন্ত শুভকারক হয়ে থাকে |

১৭) ষষ্ঠ, অষ্টম এবং দ্বাদশপতি গ্রহের দশা এবং মারকপতি যুক্ত গ্রহের দশা সচরাচর শোক ও দুঃখকারক হয়ে থাকে |

১৮) দশাকালে কোন গ্রহ কিরূপ ফলপ্রদান করবে তা ঐ দশাপতি গ্রহ বা অন্তর্দশাপতি গ্রহের বলাবলের উপর একান্তভাবে নির্ভরশীল |

১৯) আগে দেখানো হয়েছে যে, এক -একটি রাশিতে ৩০ অংশ | প্রতিটি ১০ টি অংশ এক -একটি দ্রেক্কান হয় | রাশির প্রথম দ্রেক্কান এ অবস্থিত গ্রহ দশাকালের মধ্যেবর্তী সময়ে এবং তৃতীয় দ্রেক্কান এ অবস্থিত গ্রহ দশার শেষভাগে বিশেষ ফল প্রদান করে থাকে |

২০) বক্রিগ্রহ ও অস্তমিত গ্রহ দশার শেষভাগে ফলপ্রদান করে থাকে |

২১) ষষ্ঠপতি ও সপ্তমপতি একই গ্রহ হলে এবং উক্ত গ্রহ যদি লগ্নের দশমে অবস্থান করে -ঐ গ্রহের দশা শুভ প্রদ হবে |

২২) দশমপতির সঙ্গে যুক্ত অপরাপর গ্রহাদিও স্বীয় দশাকালে শুভফল প্রদান করে থাকে |

২৩) লগ্নের দ্বিতীয় ও সপ্তম স্থানের অধিপতি যদি একই গ্রহ হয় এবং ওই গ্রহ যদি লগ্নের চতুর্থে অবস্থান করে তবে উক্ত গ্রহের দশা শুভ হবে |
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে,মেষ লগ্নের দ্বিতীয় ও সপ্তমপতি হচ্ছে শুক্র, আর তুলা লগ্নের দ্বিতীয় ও সপ্তমপতি হচ্ছে মঙ্গল |

২৪) চতুর্থ পতি বা দশম পতি ক্ষেত্র বিনিময় বা দৃষ্টি বিনিময় সন্মন্ধে আবদ্ধ হলে -ওইরূপ চতুর্থপতি ও দশমপতির দশাও শুভ হবে |

২৫) পঞ্চমপতির সঙ্গে যুক্ত ষষ্ঠ,অষ্টম ও দ্বাদশপতির দশাও শুভ হয়ে থাকে |

২৬) লগ্নের চতুর্থ স্থানে অবস্থিত পঞ্চমপতি বা নবমপতির দশাও শুভ হবে |

২৭) পঞ্চম, দশম, চতুর্থ ও নবমপতি গ্রহ যে কোনো রাশিতে একত্রে অবস্থান করলে – ওই রূপ প্রত্যেকটি গ্রহের দশায় ক্ষমতা ও সম্পদবৃদ্ধির কারক হয়ে থাকে |

২৮) জাতকের জন্মসময়ে নবমপতি যদি লগ্নের দশমে অবস্থান করে তবে এরূপ নবমপতির দশাও রাজ্যলাভে সামর্থ হয়ে থাকে | রাজ্যলাভ শব্দের বর্তমান অর্থ হলো সম্পদ বৃদ্ধি, রাষ্ট্রীয় সন্মান বা রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে উচ্চপদ লাভ – এমন কি, মন্ত্রিত্বলাভ প্রভৃতিও সূচিত করে |

২৭) পঞ্চম, দশম, চতুর্থ ও নবমপতি গ্রহ যে কোনো রাশিতে একত্রে অবস্থান করলে – ওই রূপ প্রত্যেকটি গ্রহের দশায় ক্ষমতা ও সম্পদবৃদ্ধির কারক হয়ে থাকে |

২৮) জাতকের জন্মসময়ে নবমপতি যদি লগ্নের দশমে অবস্থান করে তবে এরূপ নবমপতির দশাও রাজ্যলাভে সামর্থ হয়ে থাকে | রাজ্যলাভ শব্দের বর্তমান অর্থ হলো সম্পদ বৃদ্ধি,রাষ্ট্রীয় সন্মান বা রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে উচ্চপদ লাভ – এমন কি, মন্ত্রিত্বলাভ প্রভৃতিও সূচিত করে |

২৯) দুটি গ্রহ পরস্পরের চতুর্থে,ষষ্ঠে বা অষ্টমে অবস্থিত হলে এরূপ দুটি গ্রহের দশান্তর্দশা অশুভপ্রদ হয়ে থাকে |
ক্রূর গ্রহ শনি, মঙ্গল,রবি,রাহু এবং কেতু | এরূপ কোনো ক্রূর গ্রহ যদি অপর আর একটি গ্রহ থেকে ষষ্ঠে,চতুর্থে বা অষ্টমে থাকে এবং শেষোক্ত গ্রহটি যদি ক্রূর গ্রহ হয় বা নীচস্থ হয় -তবে এরূপ গ্রহের দশান্তর্দশায় অশুভ ফল লাভ হয়ে থাকে |

৩০) এক গ্রহ যদি অপর গ্রহ থেকে পঞ্চম,ষষ্ঠ,সপ্তম,নবম,দশম বা একাদশে থাকে এবং শেষোক্ত গ্রহটি যদি শুভকারক হয় তবে উক্ত গ্রহের দশা বিশেষ শুভ প্রদ হয়ে থাকে |

৩১) যে সকল ভাবে চতুর্থপতি,পঞ্চমপতি,লগ্নপতি,নবমপতি ও একাদশপতি অবস্থান করে – দশা কালে সেই সকল ভাবের ফললাভ হয়ে থাকে |

৩২) জন্মকুণ্ডলীতে যে স্থানে বা যে ভাবে বৃহস্পতি,শুক্র অথবা নবমপতি থাকে সেই ভাবেও রাশিদশা কালে শুভফল লাভ হয়ে থাকে ; গৃহে শুভকর্ম ও উৎসবাদী অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে |

৩৩) কোনও গ্রহের পঞ্চমে বা নবমে যদি ষষ্ঠপতি,অষ্টমপতি বা পাপগ্রহ রবি, মঙ্গল,শনি,কেতু ও রাহু থাকে – তবে ওই ওই গ্রহের অন্তর্দশাকালে কিছু অশুভফল অবশ্য লাভ হয়ে থাকে |

৩৪) কোনো গ্রহ উচ্চস্থ হয়েও যদি নিচাদি বা শুক্র নাবাংশে অবস্থিত হয় তবে দশাকালে ওই গ্রহের শুভফল হবে না |

৩৫) সু -উচ্চ এবং অত্যন্ত বলবান গ্রহের দশা শুভ হয়ে থাকে | কিন্তু কেবলমাত্র উচ্চ বা তুলা গ্রহের দশা কিছু শুভফল প্রদানে সক্ষম হলেও রোগকারক হয়ে থাকে |

৩৬) সু – নিচ বা অতি দুর্বল গ্রহের দশার ফল অত্যন্ত অশুভ হয়ে থাকে | এরূপ গ্রহের দশান্তর্দশায় রোগ,অমঙ্গল,এমন কি মৃত্যুতুল্য কষ্টও সূচিত হতে পারে |

৩৭) স্বীয় অতি উচ্চ অংশ থেকে অতি নীচ অংশের মধ্যে যে কোনও রাশিতে যে গ্রহ অবস্থান করুক – এরূপ গ্রহের দশাকে ‘অবরোহিণী ‘ বলা হয় আর অতি নীচ অংশ থেকে স্বীয় অতি উচ্চ অংশ পর্যন্ত যে কোনও রাশিতে অবস্থিত গ্রহকে ‘আরোহিণী’ আখ্যা দেয়া হয় | উপরোক্ত ‘অবরোহিণী’ এবং আরোহিণী ‘ গ্রহের দশাকে মধ্যাখ্যা বলা হয় | উচ্চ বা মিত্র গ্রহস্থিত গ্রহের মধ্যাখ্যা দশা অর্থবৃদ্ধিকারক হয়ে থাকে |

৩৮) শত্রু নাবাংশগত বা নীচস্থ গ্রহের দশাকে অধমাখ্যা গ্রহ বলা হয় | অধমাখ্যা গ্রহের দশায় রোগ ও দুঃখ বৃদ্ধি হয়ে থাকে |

৩৯) নবমপতি যদি যোগ বা দৃষ্টির দ্বারা অথবা কেন্দ্রস্থানে অবস্থান করে ফলে বৃহস্পতি বা নবম ভাবের সঙ্গে সন্মন্ধযুক্ত হয় – তবে অন্য গ্রহের দশাতেও ভাগ্গ্যোন্নতি ঘটতে পারে |

৪০) দুর্বল গ্রহ কখনো পূর্ণ ফল প্রদান করতে পারে না | গ্রহের বলাবলি অনুযায়ী জাতক জাতিকার ভাগ্গ্যোন্নতির তারতম্য ঘটতে পারে

৪১) বক্রী গ্রহ অত্যন্ত বলবান হলেও বিশেষ যোগ বা রাজযোগের ফল প্রদান করতে পারে না |

৪২) লগ্নের নবমস্থানে অর্থাৎ ভাগ্যস্থানে শুভগ্রহ শুভকর | অশুভগ্রহ অশুভপ্রদ | কোনও নৈসর্গিক অশুভ গ্রহ যদি নবমপতি হয় এবং সেই গ্রহই যদি নবমে অবস্থান করে -তবে শুভ হবে |

৪৩) লগ্নের পঞ্চমে বৃহস্পতি শুভ |শনি লগ্নের ষষ্ঠে শুভ হয়ে থাকে |

৪৪) মঙ্গল ও শনি লগ্নের যে স্থানে বা যেভাবেই থাকুক -যদি উচ্চস্থ হয় তবে শুভপ্রদ হবে |

৪৫) মিথুন,সিংহ,কন্যা,তুলা,বৃশ্চিক ও কুম্ভ রাশিকে শীর্ষোদয় রাশি বলা হয় আর অপর ছয়টি রাশি অর্থাৎ মেষ,বৃষ, কর্কট,ধনু,মকর ও মীনরাশিকে পৃষ্ঠোদয় রাশি বলা হয়ে থাকে |

শীর্ষোদয় রাশিস্থিত গ্রহ নিজ দশার প্রথমভাগে ফল প্রদান করে আর পৃষ্ঠোদয় রাশিস্থিত গ্রহ নিজ দশার শেষভাগে ফলপ্রদান করে থাকে | আর উভয়ের মধ্যস্থিত গ্রহ স্বীয় দশার শেষভাগে ফল প্রদান করে থাকে |

৪৬) বুধ স্বীয় দশার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত্য ফল প্রদান করে ; মঙ্গল ও রবি স্বীয় দশার প্রথমভাগে স্ব স্ব ফল প্রদান করে |শুক্র ও বৃহস্পতি স্বীয় দশার মধ্যভাগে,চন্দ্র ও শনি স্বীয় দশার শেষভাগে ফল প্রদান করে থাকে |

Author Bio

Related Posts

Start typing to see posts you are looking for.
ENQUIRY FORM