মানবজীবনে শনিগ্রহের প্রভাব সত্যি কি সুখকর ? না কি খুব কষ্টদায়ক ? কষ্টের থেকে মুক্তি কোন পথে? কি তার প্রতিকার ?
শনিগ্রহের প্রভাব ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে হলে বিভিন্ন মতাদর্শের মধ্যে দিয়ে করতে হবে। শনি হল কার্মিক গ্রহ।
কথিত আছে যে, মানুষের ভালো বা মন্দ কর্ম অনুযায়ী শনিদেব ন্যায়বিচার করেন এবং কর্মের ভিত্তিতে ফল দেন। সকল মানুষকেই তার কর্মফল ভোগ করতেই হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, মানুষের জীবনে বিভিন্ন গ্রহ বিভিন্ন ভাবে প্রভাব বিস্তার করে।
মানবজীবনে শনিগ্রহের প্রভাব ও প্রতিকার নিম্নে উল্লেখ করা হলো|
আর শনিগ্রহের প্রভাব অপরিসীম, মানব জীবনে শনিগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
যদি কোনো ব্যাক্তি শনির (খারাপ ভাবে বা দুস্থানগত হয়, অথবা শত্রুগ্রহ) দশায় ভোগেন, তখন সেই ব্যাক্তি মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক ভাবে দুশ্চিন্তা গ্রস্থ হবেন |
পারিবারিক জটিলতা বা গুরুজনদের স্বাস্থ্য হানি সহ একাধিক সমস্যা পড়তে হবে।
শনিদেবের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে শাস্ত্র মতে নানা প্রকার নিয়ম কানুন বিদ্যমান।
তবে শনিদেবের পুজো করলে তার কৃপা পাওয়া যায়, আমার জ্যোতিষীও জীবনে আমি তা উপলব্ধি করেছি |
শনিদেব সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা ভয়-ভীতি মিশ্রিত | শনিদেবের নাম শোনা মাত্রই মনের মধ্যে এক গুচ্ছ প্রশ্ন জাগে।
অন্য সব ঠাকুরের নাম মুখে আনার নিয়ম থাকলেও শনিদেবের নাম মুখে নিতে নেই ? শনিঠাকুরের প্রসাদ বাড়িতে আনতে নেই ?
শনিদেবের মুখের দিকে তাকিয়ে প্রণাম করতে নেই, তাতে রুষ্ট হন ঠাকুর, ফলস্বরূপ ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পড়তে হয় ইত্যাদি।
শনিদেব সম্পর্কে এই সব ভীতি সৃষ্টিকারী তত্ত্ব বা কুসংস্কার একশ্রেণি জোতিষ বা তান্ত্রিকরা করে থাকেন, তবে পুরাণে এই সব কথার কোনো উল্লেখ নেই।
শনিদেব ভক্তদের ভালো কাজের শুভ ফল দেন, তবে যারা খারাপ কাজ করেন তাদের শনিদেবের ক্রোধের সম্মুখীন হতে হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে বিভিন্ন টোটকা মেনে অথবা রত্ন ধারণের ফলে শনিগ্রহের সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারেন | কিন্তু অবশ্যই সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত।