বিবাহে যোটক বিচারে গণ বিচার কতটা যুক্তি সঙ্গত ?
জোতিষশাস্ত্রে যারা আস্থা রাখেন, তারা ছেলে মেয়ের বিয়ের সময় ঠিকুজি, কোষ্ঠী, রাশি, লগ্ন, গণ এসবের মাধ্যমে যোটক বিচারে আগ্রহী হন। সত্যিই কি, বিবাহে যোটক বিচারে গণ বিচার যুক্তি সঙ্গত ?
অভিভাবকদের কাছে প্রশ্ন, যদি গণের মিলন শুভ হয় কিন্তু বৈধব্ব্য যোগ আছে তবে আপনারা কি বিবাহে সম্মতি দেবেন ?
যোটক বিচার ও বিবাহে গণ বিচার জোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী ভবিষৎ বিবাহিত জীবনের সম্ভাবনার দিকগুলি নির্দেশ করে।
যোটক বিচারে গণ ও একটা বড় ভূমিকা আছে বলে অনেকেই মনে করেন।
কারণ গণের মিল না হলে বিবাহের পর সুখ শান্তিতে একটু হলেও বিঘ্ন ঘটতে পারে। এটা একটা প্রচলিত ধারণা মাত্র।
গণ দ্বারা কোনো মানুষের প্রকৃতি, স্বভাব বা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিকটি বহুলাংশে প্রতিফলিত হয়।
বিয়ে মানে দুটি মানুষের মনের মিলন। অনেকের ধারণা যে, রাক্ষস গণের সাথে দেব গণের অথবা নরগণের জাতক জাতিকার বিবাহ হয়।
তবে বিবাহের পর একে অপরের সাথে মনের মিল হয় না।
আবার যদি জাতক দেবগন ও জাতিকা রাক্ষস গণ তা হলে বিবাহ দেওয়া ঠিক নয়।
অনেক পরিবারকে দেখেছি, বিবাহের ভালো ভালো প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছেন। প্রচলিত ভুল ধ্যান-ধারণা রাক্ষসগণ, দেবগণকে ভিত্তি করে।
জাতক জাতিকা যদি একই গণের হয় তাহলে বলা হয় সেই বিবাহ খুব শুভ ও সুখের।
গণ বিচারের মাধ্যমে শুধুমাত্র পাত্র পাত্রীর temperamental character বা adjustment বিচার করা যায়।
এর সাথে তাদের বৈবাহিক জীবন সুখী হবে কিনা তার কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু পাত্র পাত্রী উভয়ের মূল জন্ম ছকে যদি দুঃখময় সংসার জীবনের যোগ থাকে। তবে তারা অশান্তিময় জীবন যাপন করবে। দাম্পত্যে জীবনে অশান্তি লেগেই থাকবে তা থেকে নিষ্কৃতির উপায় নেই।
অনেক অভিভাবকদের ভ্রান্ত ধারণা আছে। নরগন এবং রাক্ষসগণের পাত্র পাত্রীর মধ্যে বিবাহ দিতে নেই।
কারণ জীবন অসুখী হয় এমন কি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। নরগণের সাথে রাক্ষসগণের বিবাহ সমস্যা সংকুল হবে।
এরকম ধারণা জোতিষ শাস্ত্র কখনোই সমর্থন করে না।
গণ বিচারের ক্ষেত্রে কিছু ব্যাতিক্রম সিদ্ধান্ত পাওয়া গেছে। দাম্পত্য সুখের ভিত্তি হলো স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা বা বোঝাপড়া। উভয়ের মনোবৃত্তির মিল হলে দাম্পত্য জীবন সুখময় হবে। বিবাহে যোটক বিচারে গণ বিচার বিবাহিত জীবনে সুখ দুঃখের ওপর কোনোরকম প্রভাব ফেলে না।